বাংলাদেশে আসছে সাদা ইয়াবা। রঙ বদলে দিচ্ছে মিয়ানমার।
বাংলাদেশে আসছে সাদা ইয়াবা। রঙ বদলে দিচ্ছে মিয়ানমার।
ইয়াবা পাচারে দিন দিন সামনে আসছে নানা কৌশল। তেমনি বদলাচ্ছে ইয়াবার রঙ। এতোদিন লাল ও হলুদ রঙের ইয়াবা দেখা গেলেও এবার দেখা গেল সম্পূর্ণ ভিন্ন এক রঙে।তবে আকারে একটু ছোট। সাদা রঙের নতুন এই ইয়াবা মিয়ানমার থেকে ঢুকছে বাংলাদেশে।গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর ফিরিঙ্গীবাজার এলাকা থেকে ১ হাজার পিস নতুন এই ইয়াবার চালানটি আটক করে নগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম।এ সময় মো. ইদ্রিস (২২) নামে এক বহনকারীকে গ্রেফতার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।জানা যায়, লাল ইয়াবার অবয়বে তৈরি এসব ইয়াবা বালতির তলানিতে রেখে উপরে আরও তলার আবরণ লাগিয়ে টেকনাফ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে এ চালান।প্রথম বারের মতো সাদা ইয়াবার এমন একটি চালান আটক করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা আগে লাল ও হলুদ রঙের ইয়াবা দেখেছি। সম্প্রতি পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে নতুন রঙের ইয়াবা তৈরি করা হচ্ছে। আমরাও নজরদারি বাড়িয়েছি।’তিনি আরও বলেন, পুলিশের কাছে এ প্রথম সাদা ইয়াবার চালান ধরা পড়েছে। ইদ্রিস নামে এক বহনকারী বালতির তলানিতে ইয়াবা রেখে উপরে আরও তলার আবরণ লাগিয়ে টেকনাফ থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে এসেছে আরেকজনের কাছে হস্তান্তর করার জন্য। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।এই চালানটি ছাড়াও নারকেলের ভেতর থেকে ১হাজার ৬৬৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে চট্টগ্রাম গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।ডিবি জানায়, চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী থানাধীন জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনের রাস্তায় অভিযান চালিয়ে নারকেলের ভেতরে বিশেষ কায়দায় লুকানো ১হাজার ৬৬৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়।রবিবার (২০ জানুয়ারি) রাত আড়াইটার দিকে নগর গোয়েন্দা পুলিশের বন্দর জোন এ অভিযান চালায়।গ্রেফতারকৃত আসামি রাকিব হোসেন বাবু (৩০), লক্ষীপুরের মৃত আবু তাহেরের পুত্র। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের বন্দর বিভাগের পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন জানান, রাতে ইউনিক পরিবহনের একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে রাকিব হোসেনকে আটক এবং তার হেফাজতে থাকা নারিকেলের ভেতরে কৌশলে লুকানো ইয়াবা গুলো উদ্ধার করা হয়। তাকে দুপুরে কোর্টহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে ইয়াবা চোরাচালানে এসেছে নতুন কৌশল। গোলাপি রঙের বদলে সাদা রঙের ইয়াবা বাজারে নিয়ে এসেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি র্যাবের হাতে ধরা পড়েছে এমন আর একটি চালান। তবে সাধারণ ওষুধের মোড়কে বাজারের ছড়িয়ে দেওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশব্যাপী মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানের পরেও বন্ধ হচ্ছে না মাদক চোরা চালান। উল্টো আইনের চোখে ফাঁকি দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন মাদক ব্যবসায়ীরা। তারই অংশ হিসেবে সাদা রঙের ইয়াবা প্রস্তুত করেছে তারা। সম্প্রতি রাজধানীর পশ্চিম রামপুরা উলন রোডের থাই আবাসিক এলাকার সামনে থেকে ৮০ পিস সাদা রঙের ইয়াবাসহ রাজিব নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। সাদা রঙের ইয়াবা দেখে প্রথমে র্যাব বিভ্রান্ত হয়ে যায়। ল্যাব টেস্টে ইয়াবার বিষয়ে নিশ্চিত হয় র্যাব। রাজিবকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তিনি জানান, টেকনাফের এক মাদক ব্যবসায়ীর সহায়তায় মিয়ানমারে তৈরি সাদা রঙের ইয়াবা ট্যাবলেট দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে সাদা ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি করে আসছে সে। র্যাব-৩ এর পরিচালক লে. কর্নেল এমরানুল হাসান বলেন, অ্যামমফিটামিনের পরিমাণ সেটি ইয়াবার মতোই বিদ্যমান। সুতরাং এই সাদা ইয়াবাটি যে গোলাপি ইয়াবার মতো এতে কোনো সন্দেহ নেই। যারা টেকনাফ থেকে বাজার জাত করে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছে এসেছে তাদের নাম পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। এর আগে হলুদ রঙের ইয়াবা জব্দ হলেও সাদা রঙের ইয়াবা এবারই প্রথম জব্দ করেছে আইন শৃংঙ্খলা বাহিনী। এজন্য মাদক ব্যবসায়ীদের নতুন এই কৌশলকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম সিকদার বলেন, এর আগেও যেহেতু হলুদ রঙের ইয়াবা ধরা পড়েছিলো। এবার ধরা পড়েছে সাদা। এমন আরো হতে পারে, তাই অভিযানের সাথে যুক্ত আছেন তাদের সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে। সাদা রঙের ইয়াবার কারণে নতুন ধরণের আশঙ্কা দেখছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ. ব. ম ফারুক। তিনি বলেন, পরবর্তিতে ওষুদের মোড়কে ইয়াবা বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হতে পারে বিভিন্ন ওষুদের দোকানে। যার কারণে এটি আরো সহজলভ্য হতে পারে। দেশে ওষুদের দোকানগুলোতে সহজলভ্য হতে পারে মাদক। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো সজাগ থাকার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
ইয়াবা পাচারে দিন দিন সামনে আসছে নানা কৌশল। তেমনি বদলাচ্ছে ইয়াবার রঙ। এতোদিন লাল ও হলুদ রঙের ইয়াবা দেখা গেলেও এবার দেখা গেল সম্পূর্ণ ভিন্ন এক রঙে।তবে আকারে একটু ছোট। সাদা রঙের নতুন এই ইয়াবা মিয়ানমার থেকে ঢুকছে বাংলাদেশে।গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর ফিরিঙ্গীবাজার এলাকা থেকে ১ হাজার পিস নতুন এই ইয়াবার চালানটি আটক করে নগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম।এ সময় মো. ইদ্রিস (২২) নামে এক বহনকারীকে গ্রেফতার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।জানা যায়, লাল ইয়াবার অবয়বে তৈরি এসব ইয়াবা বালতির তলানিতে রেখে উপরে আরও তলার আবরণ লাগিয়ে টেকনাফ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে এ চালান।প্রথম বারের মতো সাদা ইয়াবার এমন একটি চালান আটক করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা আগে লাল ও হলুদ রঙের ইয়াবা দেখেছি। সম্প্রতি পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে নতুন রঙের ইয়াবা তৈরি করা হচ্ছে। আমরাও নজরদারি বাড়িয়েছি।’তিনি আরও বলেন, পুলিশের কাছে এ প্রথম সাদা ইয়াবার চালান ধরা পড়েছে। ইদ্রিস নামে এক বহনকারী বালতির তলানিতে ইয়াবা রেখে উপরে আরও তলার আবরণ লাগিয়ে টেকনাফ থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে এসেছে আরেকজনের কাছে হস্তান্তর করার জন্য। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।এই চালানটি ছাড়াও নারকেলের ভেতর থেকে ১হাজার ৬৬৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে চট্টগ্রাম গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।ডিবি জানায়, চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী থানাধীন জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনের রাস্তায় অভিযান চালিয়ে নারকেলের ভেতরে বিশেষ কায়দায় লুকানো ১হাজার ৬৬৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়।রবিবার (২০ জানুয়ারি) রাত আড়াইটার দিকে নগর গোয়েন্দা পুলিশের বন্দর জোন এ অভিযান চালায়।গ্রেফতারকৃত আসামি রাকিব হোসেন বাবু (৩০), লক্ষীপুরের মৃত আবু তাহেরের পুত্র। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের বন্দর বিভাগের পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন জানান, রাতে ইউনিক পরিবহনের একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে রাকিব হোসেনকে আটক এবং তার হেফাজতে থাকা নারিকেলের ভেতরে কৌশলে লুকানো ইয়াবা গুলো উদ্ধার করা হয়। তাকে দুপুরে কোর্টহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে ইয়াবা চোরাচালানে এসেছে নতুন কৌশল। গোলাপি রঙের বদলে সাদা রঙের ইয়াবা বাজারে নিয়ে এসেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি র্যাবের হাতে ধরা পড়েছে এমন আর একটি চালান। তবে সাধারণ ওষুধের মোড়কে বাজারের ছড়িয়ে দেওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশব্যাপী মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানের পরেও বন্ধ হচ্ছে না মাদক চোরা চালান। উল্টো আইনের চোখে ফাঁকি দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন মাদক ব্যবসায়ীরা। তারই অংশ হিসেবে সাদা রঙের ইয়াবা প্রস্তুত করেছে তারা। সম্প্রতি রাজধানীর পশ্চিম রামপুরা উলন রোডের থাই আবাসিক এলাকার সামনে থেকে ৮০ পিস সাদা রঙের ইয়াবাসহ রাজিব নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। সাদা রঙের ইয়াবা দেখে প্রথমে র্যাব বিভ্রান্ত হয়ে যায়। ল্যাব টেস্টে ইয়াবার বিষয়ে নিশ্চিত হয় র্যাব। রাজিবকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তিনি জানান, টেকনাফের এক মাদক ব্যবসায়ীর সহায়তায় মিয়ানমারে তৈরি সাদা রঙের ইয়াবা ট্যাবলেট দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে সাদা ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি করে আসছে সে। র্যাব-৩ এর পরিচালক লে. কর্নেল এমরানুল হাসান বলেন, অ্যামমফিটামিনের পরিমাণ সেটি ইয়াবার মতোই বিদ্যমান। সুতরাং এই সাদা ইয়াবাটি যে গোলাপি ইয়াবার মতো এতে কোনো সন্দেহ নেই। যারা টেকনাফ থেকে বাজার জাত করে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছে এসেছে তাদের নাম পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। এর আগে হলুদ রঙের ইয়াবা জব্দ হলেও সাদা রঙের ইয়াবা এবারই প্রথম জব্দ করেছে আইন শৃংঙ্খলা বাহিনী। এজন্য মাদক ব্যবসায়ীদের নতুন এই কৌশলকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম সিকদার বলেন, এর আগেও যেহেতু হলুদ রঙের ইয়াবা ধরা পড়েছিলো। এবার ধরা পড়েছে সাদা। এমন আরো হতে পারে, তাই অভিযানের সাথে যুক্ত আছেন তাদের সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে। সাদা রঙের ইয়াবার কারণে নতুন ধরণের আশঙ্কা দেখছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ. ব. ম ফারুক। তিনি বলেন, পরবর্তিতে ওষুদের মোড়কে ইয়াবা বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হতে পারে বিভিন্ন ওষুদের দোকানে। যার কারণে এটি আরো সহজলভ্য হতে পারে। দেশে ওষুদের দোকানগুলোতে সহজলভ্য হতে পারে মাদক। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো সজাগ থাকার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
কোন মন্তব্য নেই