নিষিদ্ধ ইন্টারনেট জগত?যে অন্ধকার জগতের খোজ গুগলও পায়না| রহস্যে ভরা নিষিদ্ধ এক জগত।
নিষিদ্ধ ইন্টারনেট জগত?যে অন্ধকার জগতের খোজ গুগলও পায়না| রহস্যে ভরা নিষিদ্ধ এক জগত।
নিষিদ্ধ ইন্টারনেট জগত?যে অন্ধকার জগতের খোজ গুগলও পায়না| রহস্যে ভরা নিষিদ্ধ এক জগত।ডার্ক বা ডিপ ওয়েব কি ?যে সকল সাইট জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত না,যেগুলোর ক্রিয়েটর বা প্রতিষ্ঠাতা রা চান না সাইট গুলো কেউ সার্চ করে খুজে পাক সেগুলো কেই ডীপ ওয়েব বলে।এটা সাধারন ভাষায়,আরেক টু ভিতরে গেলে বোঝা যায় যে সকল সাইট বা অনলাইন কনটেন্ট কে লুকিয়ে রাখা হয় সার্চ ইঞ্জিন বা আপনার আমার মত সাধারন মানুষ থেকে সেগুলোকেই ডার্ক ওয়েব বলে।আমি ডার্ক ওয়েব নিয়ে অল্পবিস্তর পড়াশোনা করছি। নানারকম গা ছমছমে গল্প পড়ি, কিন্তু বেশি গভীরে ঢোকার সাহস পাই না।আমার স্বপ্ন হচ্ছে সর্বোচ্চ লেভেলের হাইটেক অনলাইন সিকিউরিটিতে কাজ করা। সেসব কাজ করতে হলে আমাকে এমন সব কিছুর এক্সেস পেতে হবে,যা সাধারণ মানুষের পক্ষে হজম করা সম্ভব নয়। আর এসব অভিজ্ঞতা নিতে হলে ডার্ক ওয়েবের চেয়ে ‘ভালো’ কিছু আর কী হতে পারে?খুব সংক্ষেপে বলে নেই ডার্ক ওয়েব কী। ডার্ক ওয়েব হলো ইন্টারনেটের এমন একটি অংশ, যেখানে সাধারণ সার্চ ইঞ্জিন অথবা ব্রাউজার দিয়ে প্রবেশ করা যায় না। এর জন্যে লাগে বিশেষ ব্রাউজার এবং সার্চ ইঞ্জিন। যেমন টর এবং অনিয়ন। তবে সেসবের ডিটেইলসে আর যাচ্ছি না। বাংলাতেই অনেক ভালো ভালো আর্টিকেল আছে, খুঁজে পড়ে নিয়েন।কী থাকে ডার্ক ওয়েবে?প্রশ্নটা বরং এমন হওয়া উচিত, কী থাকে না ডার্ক ওয়েবে! জাল পাসপোর্ট চান?পেয়ে যাবেন।পেশাদার খুনী চান?পেয়ে যাবেন।পাইরেটেড বই, সিডি লাগবে?কোনো ব্যাপারই না!আর দুর্ধর্ষ সব হ্যাকিং টুল তো খুবই সহজলভ্য!যেকোন ধরণের ড্রাগস, চলবে?আছে! খুন,টর্চার,রেপ,এনিমেল কিলিং, জুয়া,বেটিং, জ্বী সবই আছে তাতে।এসব তো ছেলেখেলা।আরো গভীরে ঢোকা যাক।রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য,আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক,অস্ত্র বেচাকেনা,এসবও কিন্তু ডার্ক ওয়েবে আছে।তবে সাধারণ সার্চ ইঞ্জিন বা ব্রাউজার এসবের হদিস পায় না, আপনি যদি মনে করেন যে ডার্ক ওয়েবে যা ইচ্ছা তাই করে বেড়াবেন,কেউ কিছুই টের পাবে না,বড় ভুল করবেন।বিশাল বিপদে পড়ে যাবেন।এই তো কিছুদিন আগেই ডার্ক ওয়েবের কুখ্যাত চোরাই বাজার সিল্ক রুট বন্ধ হয়ে গেলো।এ পর্যন্ত শুনে হয়তো আপনি খুব এক্সাইটেড হয়ে গেছেন। ভাবছেন,যাই ঢুকে দেখি ব্যাপারটা কী!একেবারে ধুন্ধুমার লাগিয়ে দিই!আসলে ব্যাপারটা সেরকম না।
ডার্ক ওয়েব অনেক স্লো একটি নেটওয়ার্ক।এখানে একটি সাধারণ মানের ভিডিও বাফার হতেও অনেক সময় লেগে যায় মাঝে মধ্যে।আর নিষিদ্ধ জিনিসের সমাহার আছে বলেই যে তা একদম সহজ তা কিন্তু না।তাকে সাজিয়ে রাখা আছে এমনটাও না ব্যাপারটা।ডার্ক ওয়েব নিয়ে প্রচলিত আছে নানারকম মিথ। এগুলোর কিছু সত্য, কিছু অর্ধ সত্য,কিছু মিথ্যা।এগুলো নিয়ে ব্লগে,ফোরামে নানারকম আলোচনা চলে,কিন্তু সত্যিকারের সত্যিটা কিছুটা অস্পষ্টই এখনও।আসুন জেনে নেই এমন কিছু মিথের কথা।রেড রুম–রেড রুম হলো ডার্ক ওয়েবের কিছু গোপন আস্তানা।এখানে মানুষকে টর্চার,খুন,রেপ ইত্যাদির লাইভ স্ট্রিমিং হয়।কাউকে কাউকে ধরে আনা হয়,এবং কেউ কেউ নিজের ইচ্ছায় নিজেকে রেড রুমে সঁপে দেয় অতিশয় দারিদ্রের কারণে,পরিবারকে বাঁচাতে।এসব লাইভ স্ট্রিমিং নাকি মানুষ পয়সা দিয়ে দেখে। এ নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক আছে।কিন্তু এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর যিনি নিজের চোখে এসব দেখেছেন। সবাই অমুক তমুকের বরাত দিয়ে বলে। আর ডার্ক ওয়েব নেটওয়ার্কের যে গতি, তাতে রেডরুম চালানো অবাস্তব কল্পনা বলেই মনে হয়।
মারিয়ানাস ওয়েব–কথিত আছে মারিয়ানা ওয়েব হচ্ছে ডার্ক ওয়েবের গভীরতম জায়গা। সেখানে অতিশয় এক্সপার্ট হ্যাকাররা ছাড়া কেউ যেতে পারে না। খুব কম লোকই এর সন্ধান জানে, ইত্যাদি। এই মারিয়ানাস ওয়েব নাকি ইলুমিনাতিদের দ্বারা প্রচলিত,এখানে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে গোপন সত্যগুলি লিপিবদ্ধ আছে, এটি নিউরাল নেটওয়ার্ক দ্বারা তৈরি, ইত্যাদি।বেশ চমকপ্রদ একটি গল্প, তবে এর কোনো সত্যতা নেই তা নিশ্চিত হয়েই বলা যায়।
বিশালত্ব-বলা হয়ে থাকে, আমরা সাধারণভাবে যে ওয়েব দেখি, তা ইন্টারনেটের মোট আকারের মাত্র দশ শতাংশ, বাকিটুকু হলো ডার্ক ওয়েব। এটা একদমই বাস্তব কথা। ডার্ক ওয়েব আদতে ইন্টারনেটের বিশাল একটি অংশ।আর সবচেয়ে বড় কথা,এখন যা বলবো তা পড়ার পর আপনি এতক্ষণ যা পড়েছেন তা মিথ্যে মনে হতে পারে! ডার্ক ওয়েব মানেই নৃশংস খুনী, বর্বর ক্রিমিনাল আর ড্রাগসের আস্তানা নয়।এখানে আপনি রেডিও শুনতে পারেন, ফ্যাশন ট্রেন্ড নিয়ে আলোচনা করতে পারেন,ভাল যে কোন বিষয় নিয়ে কাজ করতে পারেন আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, আপনি টর নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সবখানেই ঢুকতে পারবেন।ফেসবুক থেকে ইউটিউব সব!কিন্তু না করাই ভাল।আর এইসব কেই ডার্ক ওয়েব বলে।(সংক্ষিপ্ত).
নিষিদ্ধ ইন্টারনেট জগত?যে অন্ধকার জগতের খোজ গুগলও পায়না| রহস্যে ভরা নিষিদ্ধ এক জগত।ডার্ক বা ডিপ ওয়েব কি ?যে সকল সাইট জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত না,যেগুলোর ক্রিয়েটর বা প্রতিষ্ঠাতা রা চান না সাইট গুলো কেউ সার্চ করে খুজে পাক সেগুলো কেই ডীপ ওয়েব বলে।এটা সাধারন ভাষায়,আরেক টু ভিতরে গেলে বোঝা যায় যে সকল সাইট বা অনলাইন কনটেন্ট কে লুকিয়ে রাখা হয় সার্চ ইঞ্জিন বা আপনার আমার মত সাধারন মানুষ থেকে সেগুলোকেই ডার্ক ওয়েব বলে।আমি ডার্ক ওয়েব নিয়ে অল্পবিস্তর পড়াশোনা করছি। নানারকম গা ছমছমে গল্প পড়ি, কিন্তু বেশি গভীরে ঢোকার সাহস পাই না।আমার স্বপ্ন হচ্ছে সর্বোচ্চ লেভেলের হাইটেক অনলাইন সিকিউরিটিতে কাজ করা। সেসব কাজ করতে হলে আমাকে এমন সব কিছুর এক্সেস পেতে হবে,যা সাধারণ মানুষের পক্ষে হজম করা সম্ভব নয়। আর এসব অভিজ্ঞতা নিতে হলে ডার্ক ওয়েবের চেয়ে ‘ভালো’ কিছু আর কী হতে পারে?খুব সংক্ষেপে বলে নেই ডার্ক ওয়েব কী। ডার্ক ওয়েব হলো ইন্টারনেটের এমন একটি অংশ, যেখানে সাধারণ সার্চ ইঞ্জিন অথবা ব্রাউজার দিয়ে প্রবেশ করা যায় না। এর জন্যে লাগে বিশেষ ব্রাউজার এবং সার্চ ইঞ্জিন। যেমন টর এবং অনিয়ন। তবে সেসবের ডিটেইলসে আর যাচ্ছি না। বাংলাতেই অনেক ভালো ভালো আর্টিকেল আছে, খুঁজে পড়ে নিয়েন।কী থাকে ডার্ক ওয়েবে?প্রশ্নটা বরং এমন হওয়া উচিত, কী থাকে না ডার্ক ওয়েবে! জাল পাসপোর্ট চান?পেয়ে যাবেন।পেশাদার খুনী চান?পেয়ে যাবেন।পাইরেটেড বই, সিডি লাগবে?কোনো ব্যাপারই না!আর দুর্ধর্ষ সব হ্যাকিং টুল তো খুবই সহজলভ্য!যেকোন ধরণের ড্রাগস, চলবে?আছে! খুন,টর্চার,রেপ,এনিমেল কিলিং, জুয়া,বেটিং, জ্বী সবই আছে তাতে।এসব তো ছেলেখেলা।আরো গভীরে ঢোকা যাক।রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য,আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক,অস্ত্র বেচাকেনা,এসবও কিন্তু ডার্ক ওয়েবে আছে।তবে সাধারণ সার্চ ইঞ্জিন বা ব্রাউজার এসবের হদিস পায় না, আপনি যদি মনে করেন যে ডার্ক ওয়েবে যা ইচ্ছা তাই করে বেড়াবেন,কেউ কিছুই টের পাবে না,বড় ভুল করবেন।বিশাল বিপদে পড়ে যাবেন।এই তো কিছুদিন আগেই ডার্ক ওয়েবের কুখ্যাত চোরাই বাজার সিল্ক রুট বন্ধ হয়ে গেলো।এ পর্যন্ত শুনে হয়তো আপনি খুব এক্সাইটেড হয়ে গেছেন। ভাবছেন,যাই ঢুকে দেখি ব্যাপারটা কী!একেবারে ধুন্ধুমার লাগিয়ে দিই!আসলে ব্যাপারটা সেরকম না।
ডার্ক ওয়েব অনেক স্লো একটি নেটওয়ার্ক।এখানে একটি সাধারণ মানের ভিডিও বাফার হতেও অনেক সময় লেগে যায় মাঝে মধ্যে।আর নিষিদ্ধ জিনিসের সমাহার আছে বলেই যে তা একদম সহজ তা কিন্তু না।তাকে সাজিয়ে রাখা আছে এমনটাও না ব্যাপারটা।ডার্ক ওয়েব নিয়ে প্রচলিত আছে নানারকম মিথ। এগুলোর কিছু সত্য, কিছু অর্ধ সত্য,কিছু মিথ্যা।এগুলো নিয়ে ব্লগে,ফোরামে নানারকম আলোচনা চলে,কিন্তু সত্যিকারের সত্যিটা কিছুটা অস্পষ্টই এখনও।আসুন জেনে নেই এমন কিছু মিথের কথা।রেড রুম–রেড রুম হলো ডার্ক ওয়েবের কিছু গোপন আস্তানা।এখানে মানুষকে টর্চার,খুন,রেপ ইত্যাদির লাইভ স্ট্রিমিং হয়।কাউকে কাউকে ধরে আনা হয়,এবং কেউ কেউ নিজের ইচ্ছায় নিজেকে রেড রুমে সঁপে দেয় অতিশয় দারিদ্রের কারণে,পরিবারকে বাঁচাতে।এসব লাইভ স্ট্রিমিং নাকি মানুষ পয়সা দিয়ে দেখে। এ নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক আছে।কিন্তু এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর যিনি নিজের চোখে এসব দেখেছেন। সবাই অমুক তমুকের বরাত দিয়ে বলে। আর ডার্ক ওয়েব নেটওয়ার্কের যে গতি, তাতে রেডরুম চালানো অবাস্তব কল্পনা বলেই মনে হয়।
মারিয়ানাস ওয়েব–কথিত আছে মারিয়ানা ওয়েব হচ্ছে ডার্ক ওয়েবের গভীরতম জায়গা। সেখানে অতিশয় এক্সপার্ট হ্যাকাররা ছাড়া কেউ যেতে পারে না। খুব কম লোকই এর সন্ধান জানে, ইত্যাদি। এই মারিয়ানাস ওয়েব নাকি ইলুমিনাতিদের দ্বারা প্রচলিত,এখানে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে গোপন সত্যগুলি লিপিবদ্ধ আছে, এটি নিউরাল নেটওয়ার্ক দ্বারা তৈরি, ইত্যাদি।বেশ চমকপ্রদ একটি গল্প, তবে এর কোনো সত্যতা নেই তা নিশ্চিত হয়েই বলা যায়।
বিশালত্ব-বলা হয়ে থাকে, আমরা সাধারণভাবে যে ওয়েব দেখি, তা ইন্টারনেটের মোট আকারের মাত্র দশ শতাংশ, বাকিটুকু হলো ডার্ক ওয়েব। এটা একদমই বাস্তব কথা। ডার্ক ওয়েব আদতে ইন্টারনেটের বিশাল একটি অংশ।আর সবচেয়ে বড় কথা,এখন যা বলবো তা পড়ার পর আপনি এতক্ষণ যা পড়েছেন তা মিথ্যে মনে হতে পারে! ডার্ক ওয়েব মানেই নৃশংস খুনী, বর্বর ক্রিমিনাল আর ড্রাগসের আস্তানা নয়।এখানে আপনি রেডিও শুনতে পারেন, ফ্যাশন ট্রেন্ড নিয়ে আলোচনা করতে পারেন,ভাল যে কোন বিষয় নিয়ে কাজ করতে পারেন আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, আপনি টর নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সবখানেই ঢুকতে পারবেন।ফেসবুক থেকে ইউটিউব সব!কিন্তু না করাই ভাল।আর এইসব কেই ডার্ক ওয়েব বলে।(সংক্ষিপ্ত).
কোন মন্তব্য নেই