4G পরীক্ষায় ব্যর্থ গ্রামীণফোন,রবি ও বাংলালিংক।
4G পরীক্ষায় ব্যর্থ গ্রামীণফোন,রবি ও বাংলালিংক।
মোবাইল ইন্টারনেট ফোরজি সেবার মান ধরে রাখতে পারেনি দেশের তিন বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটরের কেউই। গ্রামীণফোন (জিপি), রবি ও বাংলালিংক— তিন অপারেটরেই ফোরজি নেটওয়ার্কে ডাউনলোডের গতি ৬ এমবিপিএসের (মেগাবিট পার সেকেন্ড) কম। অথচ নীতিমালা অনুযায়ী এই গতি হওয়ার কথা ছিল কমপক্ষে ৭ এমবিপিএস।
এদিকে, কলড্রপের ক্ষেত্রে এখনও শীর্ষে রয়েছে গ্রামীণফোন। নীতিমালা অনুযায়ী কলড্রপের হার ২ শতাংশের নিচে থাকার কথা থাকলেও বেসরকারি এই মোবাইল অপারেটরের কলড্রপ ৩ শতাংশেরও বেশি।
সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি প্রকাশিত মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর ‘কোয়ালিটি অব সার্ভিস ড্রাইভ টেস্টের’ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। মোবাইল সেবার মান যাচাইয়ে রাজধানী ঢাকায় সম্প্রতি এই পরীক্ষা চালায় বিটিআরসি। পরীক্ষায় ৩ হাজার ৩০০ জন গ্রাহককে নমুনা হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হয়।
বিটিআরসি’র মান যাচাই পরীক্ষার ফলে দেখা গেছে, ফোরজিতে গ্রামীণফোনের ডাউনলোড গতি ৫ দশমিক ৪৪ এমবিপিএস, রবির ৫ দশমিক ৯১ এমবিপিএস এবং বাংলালিংকের ৫ দশমিক ১৮ এমবিপিএস। কোয়ালিটি অব সার্ভিস (কিউওএস) নীতিমালা অনুযায়ী, থ্রিজি নেটওয়ার্কে ডাউনলোডের সর্বনিম্ন গতি দুই এমবিপিএস, আর ফোরজিতে ৭ এমবিপিএস হতে হবে। তবে, ড্রাইভ টেস্টে টেলিটকের ফলাফল যাচাই করা হয়নি।
এদিকে, আপলোডের ক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের গতি ২ দশমিক ৫৫, রবির ২ দশমিক ৫০ এবং বাংলালিংকের ২ দশমিক ৩৩ এমবিপিএস। নীতিমালা অনুযায়ী, এটি কমপক্ষে ১ এমবিপিএস হতে হবে।
ড্রাইভ টেস্টে দেখা গেছে, কলড্রপের ক্ষেত্রে এখনও শীর্ষে রয়েছে গ্রামীণফোন। এই অপারেটরে কলড্রপের হার ৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ, যা কলড্রপের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশের চেয়ে অনেক বেশি। বাকি তিন অপারেটর রবির কলড্রপ ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ, বাংলালিংকের ০ দশমিক ৫৮ এবং টেলিটকের ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এই তিন অপারেটরের কলড্রপই ২ শতাংশের নিচে রয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই