যেকোনো সিম কার্ড ক্লোন করুন খুব সহজে।

যেকোনো সিম কার্ড ক্লোন করুন খুব সহজে। 



আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদেরকে সিম কার্ড কিভাবে ক্লোন করতে হয় তা প্যাকটিক্যাল ভাবে দেখাবো এবং জানাবো।  কিন্তু আপনারা অনুগ্রহ করে কেউ এই কাজটি কখনোই কারো ক্ষতি করার জন্য ব্যবহার করবেন না।

আমি আপনাদেরকে শিখাচ্ছি শুধুমাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে জানার জন্য এবং নিজেরা সতর্ক থাকার জন্য। ভুলেও কখনো আমার এই শেখানো বিষয়গুলো কোন অবৈধ কাজে ব্যবহার করবেন না। যদি আপনারা এই কাজগুলোকে কোন অবৈধ এবং খারাপ কাজে ব্যবহার করেন তার জন্য আমি সবুজ এবং আমার গ্রুপ সবুজবাংলা ইউটিউব হেলপ্লাইন কোনভাবেই দায়-দায়িত্ব বহন করবে না।

সিম কার্ড ক্লোন সাধারণত একটি সিম কার্ডের মাইক্রো কন্ট্রোলারের থাকা তথ্য অনুরূপ বা নকল করাকে বোঝায়। সিম কার্ড ক্লোনিং এর ফলে সিম কার্ডে থাকা সকল তথ্য নকল সিম কার্ডে চলে আসে, এমনকি সিম কার্ড ক্লোনিং এর ফলে সঠিক সিম কার্ডের রেকর্ড যেমন: কল লিস্ট, ডায়াল কল লিস্ট, মেসেজ লিস্ট, পিন কোড, আইসিসিআইডি নম্বর এবং সিম কার্ডের ব্যালেন্স স্থানান্তর হয়ে যায়।

এশিয়া মহাদেশে এই ২ ভাবে সিম কার্ড ক্লোনিং হয়ে থাকে। সিম কার্ড ক্লোনিং এর ২টি পদ্ধতির মধ্যে একটি হলো, হার্ডওয়্যার বা ডিভাইস ভিত্তিক সিম কার্ড ক্লোনিং এবং অপরটি হলো আইপি টেলিকমিউনিকেশন ভিত্তিক সিম কার্ড ক্লোনিং

হার্ডওয়্যার বা ডিভাইস ভিত্তিক এর দুইটি অংশ রয়েছে প্রথমটি হলো হার্ডওয়্যার বা ডিভাইস এবং দ্বিতীয় অংশ হলো সফটওয়্যার। হার্ডওয়্যার বা ডিভাইস সিম কার্ড ক্লোনিং এ বিভিন্ন রকমের ডিভাইস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে এ ধরনের হার্ডওয়্যার বা ডিভাইস বাজারে খুব একটা পাওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন সাধারণ সিম কার্ড রিডার ডিভাইসে অতিরিক্ত কিছু অংশ লাগিয়ে সিম কার্ড ক্লোনিং ডিভাইস তৈরি করা হয়ে থাকে। এধরনের ডিভাইস সাধারণত ইউএসবি ভিত্তিক হয়ে থাকে।

ফিমেল ডাটা কমিউনিকেশন পোর্ট ভিত্তিক সিম কার্ড ক্লোনিং ডিভাইস ভাল এবং উচ্চ মানের সিম কার্ড ক্লোনিং করার জন্য অনেক ক্ষেত্র নিজেরাই সিম কার্ড ক্লোনিং ডিভাইস তৈরি করে থাকে।এধরনের ডিভাইস সাধারণত ফিমেল ডাটা কমিউনিকেশন পোর্ট ভিত্তিক হয়ে থাকে। একে ওয়াফার কার্ডও বলা হয়। ইউএসবি ভিত্তিক ডিভাইস এর সফটওয়্যার হার্ডওয়্যার বা ডিভাইস ভিত্তিক সিম কার্ড ক্লোনিং এ বিভিন্ন করমের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ইউএসবি ভিত্তিক ডিভাইস এর ক্ষেত্রে এক রকমের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে সফটওয়্যার ইউএসবি ভিত্তিক সিম কার্ড ক্লোনিং ডিভাইস এর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে এবং ক্লোনিং ডিভাইস রিড করে সিম কার্ড ক্লোনিং করে থাকে। অপর ক্ষেত্রে ওয়াফার ডিভাইস ডাটা কমিউনিকেশন পোর্ট ব্যবহার করে থাকে। কম্পিউটারের মাদারবোর্ডের মেইল পোর্টের সাথে ওয়াফার ডিভাইস সংযোগ করা হয়ে থাকে। এর পর নিদিষ্ট কিছু সফটওয়্যার ব্যাবহার করে ওয়াফার সিম কার্ড ক্লোনিং ডিভাইস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আইপি টেলিকমিউনিকেশন ভিত্তিক সিম কার্ড ক্লোনিং এ আইপি ফোন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আইপি টেলিকমিউনিকেশন এর অংশ। এক্ষেত্রে এমন একটি সিস্টেম ব্যবহার করা হয়।

আজ আমি আপনাদেরকে সিম কার্ড ক্লোন এর একটি পদ্ধতি জানাবো, যদি আপনাদের আশানুরূপ উৎসাহ পাই তাহলে দ্বিতীয় পদ্ধতিটি আপনাদেরকে জানানো হবে।

সিম কার্ড ক্লোন করার জন্য সবার আগে আপনার দরকার হবে IMSI (International Mobile Subscriber Identifier) নাম্বার। এটি সাধারণত সিম কার্ডের উপরে খোদাই করা থাকে। এটি ১৫-১৭ ডিজিটের হতে পারে। এবার আপনাকে একটা সিম ডুপ্লিকেটর এবং সুপার সিম কিনতে হবে। এগুলো কিছুটা রেয়ার হলেও ইন্টারনেটে খোজ করলে পেয়ে যাবেন। এবার সিম ডুপ্লিকেটরে আপনার সিম ঢুকিয়ে PC তে ইনসার্ট করুন। এবার এটির সাহায্যে আপনার পুরাতন সিমটির (Authentication Key (Key) এবং অন্যান্য সকল ডাটা কপি করুন।

এবার পুরাতন সিম সরিয়ে সিম ডুপ্লিকেটরে  সুপার সিম ইনসার্ট করুন এবং কপি করা ডাটা লোড করুন। তাহলেই সুপার সিমটি আপনার আগের সিমের প্রতিলিপি হয়ে যাবে। মানের ভিত্তিতে একটি সুপার সিমে ১-১২ টি সিমের ডাটা লোড করা যায়।

আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। আপনারা কিন্তু কখনোই এই শিক্ষাটাকে খারাপ কাজে ব্যবহার করবেন না। যদি আপনারা এই সমস্ত শিক্ষাকে খারাপ কাজে ব্যবহার করেন তাহলে আপনারা সাইবার আইনে অপরাধী সাব্যস্ত হবেন। আপনারা জানার জন্য জানুন, নিজে সতর্ক থাকার জন্য জানুন। আল্লাহ হাফেজ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, নিরাপদ থাকবেন।

কোন মন্তব্য নেই

Goldmund থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.