ডিলিট করে দেয়া ফাইল কোথায় যায়? তার সম্পূর্ণ বিস্তারিত বিষয়গুলো জানুন এই পোস্ট হতে।

ডিলিট করে দেয়া ফাইল কোথায় যায়? তার সম্পূর্ণ বিস্তারিত বিষয়গুলো জানুন এই পোস্ট হতে।


কম্পিউটার ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপে অথবা আমাদের প্রতিদিনের ব্যবহার করা মোবাইলে ইচ্ছেকৃত ভাবে কিংবা নিতান্তই অসাবধানতা বশত ফাইল ডিলিট করা হয়। প্রশ্ন জাগতেই পারে কোথায় যায় এই মুছে যাওয়া ফাইলগুলো? আদৌ কি কখনও মুছে যায় ফাইল? ১৯৭৯ সাল। প্রথম ব্যবহৃত হয় ‘ডিলিট’ শব্দটা। এরপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যায় ইরেজ। থাকে শুধু ডিলিট। ডিলিট ও ইরেজ হারিয়ে গেলেও ‘ডিলিট’ কী হারিয়ে যায়? ‘ডিলিট’ বাটন টিপে কোনো ফাইল মুছে ফেললে তা লোকেশন থেকে সরে যায় কিন্তু জমা হয়ে থাকে রিসাইকেল বিন বা থ্র্যাশে। সেখান থেকে রিস্টোর বাটন দিয়ে পুনরুদ্ধার করা যায় হারিয়ে যাওয়া ফাইল। কিন্তু এম্পটি রিসাইকেল বিন বা শিফট+ডিলিট একসঙ্গে চাপলে মুছে যাওয়া ফাইল আর রিস্টোর করা যায় না। তবে কি এখানেই শেষ হয়ে যায় ডিলিট ফাইলের অস্তিত্ব? না, ফিজিক্যাল স্পেস শুধু মার্ক হয় এম্পটি, কিন্তু সেখানে জায়গাটা ভরাট থেকেই যায়। কারণ ফাইল মুছে ফেললেও আসলে ফাইলটা মুছে যায় না, মুছে যায় শুধু পয়েন্টারগুলো। পয়েন্টার হল এমন এক ধরণের ডেটা যা মেমোরির মধ্যে জায়গাগুলো পয়েন্ট করে। যা দিয়ে বোঝা যায় ফাইলগুলোর আসল পথ। কিন্তু যখন পয়েন্টার ডিলিট হয়ে যায় তখন শুধু ডেটাগুলো আর খুঁজে পাওয়া যায় না। কিছু বিশেষ সফটওয়্যার আছে যেগুলো এই মুছে যাওয়া ফাইলগুলোর পথ খুঁজে বার করতে পারে এবং ভাগ্য ভাল থাকলে সেই ফাইল আবার ফেরতও পাওয়া যেতে পারে। মুছে যাওয়া ফাইল বা ডেটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে যদি ওই অ্যাভেইলেবল এ ওভাররাইট করা হয়। সেক্ষেত্রে আসল ডেটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সফটওয়্যার তা আর উদ্ধার নাও করতে পারে। তবে পুরোপুরি নষ্ট হয় না। আংশিকভাবে নষ্ট হয়। এই ডেটাকে পুরোপুরি নষ্ট করতে হলে বারবার ওভাররাইট করতে হবে। অনেক সময় তাতেও নষ্ট হয় না ডেটা। ডেটাকে সম্পূর্ণভাবে নষ্ট করতে হলে নষ্ট করে ফেলতে হবে গোটা ড্রাইভটাই। এখানেই কি শেষ? আর কি তবে কোনওভাবে ফেরত আনা যাবে না ডেটা। এখান থেকেও ফেরত আনা যাবে ডেটা। তবে ‘কনফিডেনশিয়াল’ ডেটা লিখুন কাগজে, তারপর ছিঁড়ে ফেলুন। কিন্তু টেকনোলজি এখান থেকেও উদ্ধার করে আনতে পারে ‘ডিলিটেড’ ফাইল। ছেঁড়া টুকরো স্ক্যান করে তা সফটওয়্যারে ফেললে, সফটওয়্যার সাজিয়ে বলে দেবে কি ছিল আসল ডেটা। সত্যিই যদি কিছু ‘ডিলিট’ করতে হয় তবে তার একমাত্র পথ হল সূর্য। আগামি ১০০ বছরে সূর্যের উত্তাপ এত বেড়ে যাবে যে পৃথিবীতে এনার্জি বলে আর কিছু থাকবে না। সৃষ্টি শব্দটা থাকবে না। তখন শুধুই হবে ‘ডিলিট’। আজ এই পর্যন্তই, আশা করি আপনাদের এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার করবেন।

কোন মন্তব্য নেই

Goldmund থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.