আমরা যে ব্লুটুথ (Bluetooth) টেকনোলজি ব্যবহার করি, এটির নাম ব্লুটুথ রাখা হলো কেন?

আমরা যে ব্লুটুথ (Bluetooth) টেকনোলজি ব্যবহার করি, এটির নাম ব্লুটুথ রাখা হলো কেন?


আমরা যে ব্লুটুথ (Bluetooth) টেকনোলজি ব্যবহার করি, এটির নাম ব্লুটুথ রাখা হলো কেন? মজার ব্যাপার হচ্ছে ব্লুটুথ টেকনোলজির নামকরণ হয়েছিল দশম শতাব্দির ডেনমার্কের এক ভাইকিং রাজা 'হারাল্ড ব্লুটুথ' এর নামে। জানা যায় এই রাজার মুখের একটি দাঁত নষ্ট ছিল। আর ওই নষ্ট দাঁতটি দেখতে ছিল নীল রঙের।
১৯৯৬ সালের দিকে একদিন ইন্টেলের এক প্রকৌশলী জিম কারদাক ও এরিকসনের এক প্রকৌশলী সেভেন ম্যাটিসন একটি প্রতিযোগিতায় হেরে যাবার পর, একসাথে একটি বারে মদ পান করতে যান। মদ পান করার ফাঁকে ফাঁকে তাদের মধ্যে ইতিহাস নিয়ে গল্প হতে থাকে। ম্যাটিসন কয়েকদিন আগেই দি লংশিপ নামে একটি বই পড়েছিলেন। সেই বইয়ে রাজা হারাল্ড ব্লুটুথের একটি কাহিনী উল্লেখ ছিল। ম্যাটিসন সেটি জিমকে গল্পের ফাঁকে বলেন। পরে ইতিহাস প্রেমী জিম বাসায় ফিরে দি ভাইকিংস নামে একটি বই পড়েন। সেখানে তিনি রাজা ব্লুটুথের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন। যা পরবর্তীতে তারবিহীন এই প্রযুক্তির নামকরণের সময় তার মাথায় আসে। এক লেখায় জিম বলেন, হারাল্ড ডেনমার্কের বিভিন্ন গোত্রকে একত্রিত করেছিল ও তাদের মধ্যে খ্রিস্টান ধর্মের প্রচার করেছিল। আমার মনে হয়েছিল এ কারণেই, নতুন এই তারবিহীন প্রযুক্তিটির নাম ব্লুটুথ রাখা যেতে পারে। কারণ এ প্রযুক্তি অনেকগুলো বিচ্ছিন্ন ডিভাইসকে একত্রিত করবে। নামকরণের পাশাপাশি ব্লুটুথ টেকনোলোজির লোগোটিরও কিন্তু রয়েছে একটি বিশেষত্ব। এতদিন ধরে হয়তো ব্লুটুথ লোগোটি দেখে আপনি মনে করেছিলেন, এমনি কয়েকটি সরলরেখাকে বিশেষভাবে সাজিয়ে এখানে একটি B তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি তা নয়, লোগোর এই B টি আসলে নর্ডিক ভাষার H ও B এর মিলনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে, যা আসলে Harald Bluetooth এর নামের আদ্যক্ষর। এই দুটি অক্ষরকে একত্র করার ফলে তা একটি B অক্ষরের রূপ নিয়েছে এবং পরিণত হয়েছে আমাদের বর্তমানের বহুল প্রচলিত ব্লুটুথের লোগোতে। আজ থেকে ১,০০০ বছর আগে সেই ভাইকিং রাজা মারা গেলেও, এখনো তার নাম ঘুরে বেড়াচ্ছে আমাদের পকেটে পকেটে!
এই বিষয়বস্তু সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চাইলে আপনারা উইকিপিডিয়ার সাহায্য নিতে পারেন।ন।

1 টি মন্তব্য:

Goldmund থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.