ফেসবুক স্পামিং কি? ফেসবুক স্প্যামার হওয়ার নিয়ম।

ফেসবুক স্পামিং কি? ফেসবুক স্প্যামার হওয়ার নিয়ম।



ফেসবুকে স্প্যামারদের কথা কখনো শুনেছেন? হয়তো আপনি কখনো তাদের ধারে কাছে যাওয়ার সুযোগ পান না, কারণ আপনি তাদের ভয় পান? যখনই আপনি ফেসবুক নামক প্ল্যাটফর্মটিতে কোন স্প্যামারদের কথা শুনেন তখনই আপনি গুটিয়ে যান, এটা মনে করেন যে ওর সাথে লাগতে গেলেই আমার সব শেষ। আমরা অনেকে এটা বিশ্বাস করি যে যদি আমরা কোন ফেইসবুক স্প্যামার সাথে টক্কর দিতে চাই তখনই আমরা আমাদের ফেসবুক আইডিটা হারিয়ে ফেলবো।

তারা করে কি জানেন? এই ফেসবুক স্প্যামার আপনার ফেসবুক আইডি দিকে যখন একটু নজর দিবে, তারা রিপোর্ট করার মাধ্যমে আপনার ফেসবুক আইডি নষ্ট করে দিবে। কারণ এই স্প্যামারদের একটি টিম থাকে, যেই টিমে  একদম কম হলে দশজন থেকে কয়েক শত মেম্বার্স থাকতে পারে, শুধু তাই নয় আপনি যদি এই টিমে যুক্ত হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার কাছে পুরাতন ফেসবুক আইডি প্রয়োজন হবে।

আবার এই আইডি সংখ্যা একটি হলে আপনি কিন্তু স্প্যামারদের জগতের জন্য প্রযোজ্য নয়, আপনাকে অবশ্যই এক্ষেত্রে চার থেকে পাঁচটি পুরাতন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এর মালিক থাকাটা অবশ্যই প্রয়োজন। আর যখন এই ১০-১৫ জন কিংবা ১০০ জনের কাছে এরকম চার-পাঁচটি করে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকবে, আপনি তখন যদি তাদের টিমের কারো  সাথে ফাপরবাজি করেন তাহলে তারা কি করবে?

নিশ্চয়ই ওই সমস্ত ফেসবুক স্প্যামার টিমের লোকেরা এর লোকেরা একত্র হয়ে আপনার ফেসবুক আইডিতে রিপোর্ট করবে, তাই নয় কি? আর একইসাথে এই মাত্রাতিরিক্ত রিপোর্ট ফেসবুক কর্তৃপক্ষ যখনই রিভিও করবে তখন কোনো কিছু না ভেবেই আপনার ফেসবুক একাউন্ট ডিজেবল করে দিবে।

কারণ ১০০ জন খারাপ লোকের সামনে আপনি যদি একা ভাল থাকেন, তাহলে ওই খারাপ দলের লোকেরাই আপনার চেয়ে এগিয়ে থাকবে এবং তারা আপনার সাথে জিতে যাবে।

এখন আপনি কি ফেসবুক স্প্যামার হবেন নাকি?

এই প্রশ্নের জবাব একদম সোজা, কারণ ফেসবুকে যে কোন স্প্যামার গ্রুপের দিকে নজর করলে আপনি ঐ সমস্ত গ্রুপের যেকোনো পাবলিশ করা পোস্টে অনেক কমেন্ট বক্সে পাবেন- “ভাই আমি স্প্যামার হবো,  আমি স্প্যামার হতে চাই, এই ধরনের অনেক কথা। যদি আপনি অবশ্যই একজন ফেসবুক স্প্যামার হতে চান, যাতে করে যেকেউ আপনাকে দেখলেই ভয় পায় এবং আপনাকে সম্মানের চোখে দেখে।

স্প্যামার হতে হলে আপনাকে কি কি করতে হবে তা কি জানেন? প্রথমত অবশ্যই আপনাকে সিকিউর থাকতে হবে, এখানে সিকিউর বলতে আপনার ফেসবুক আইডি অবশ্যই ভেরিফাই করতে হবে। আর যদি ভেরিফাই করতে না পারেন, তাহলে অবশ্যই আপনার ফেসবুক আইডি নিয়ে আপনি শঙ্কায় থাকবেন, কারণ  ফেসবুক স্পামিং জগতে গেলে আপনার শত্রুর অভাব হবে না।আর তারা যখনই আপনার ফেসবুক আইডি সঙ্গে লেগে পড়ে থাকবে, তখনই আপনি হারিয়ে ফেলবেন আপনার ফেসবুক আইডি। তবে আপনি যদি আপনার রিয়েল আইডি ভেরিফাই করতে না পারেন তাহলে আপনার বাবা কিংবা মায়ের নামে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে, তাদের ন্যাশনাল আইডি কার্ড দিয়ে এটা ভেরিফাই করে নিন।

তারপরে আপনাকে কমপক্ষে ১০ টি ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মালিক হতে হবে, এই সমস্ত ফেসবুক আইডি অবশ্যই স্ট্রং হতে হবে, আর কিভাবে আপনি আপনার ফেসবুক আইডি স্ট্রং করতে পারবেন এটা জানতে হলে সবুজ বাংলা টিভি অফিশিয়াল ব্লগ ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন। ফেসবুক আইডি শক্ত করা হয়ে গেল, এবার আপনাকে অবশ্যই রিপোর্ট করা শিখতে হবে। কারণ  যে কেউ যখন আপনাকে একজন ভালো ফেসবুক স্প্যামার হিসেবে জানবে, তখনই সে আপনার কাছে সাহায্য চাইবে।

আর এই সাহায্যটা হলো কেউ হয়তো ওই ব্যক্তিটি কে বিরক্ত করছে, আপনাকে বলবে যে ওই ব্যক্তির আইডি রিপোর্ট করে ডিজেবল করে দিতে। আর আপনি যদি রিপোর্ট করা না জানেন, তাহলে কিভাবে ফেসবুক আইডি রিপোর্ট করবেন? আর তাই এটা অব্যশই আপনাকে জেনে নিতে হবে।

শুধু তা নয় নিয়মিত ফেসবুক সংক্রান্ত যেকোন সমস্যা ভাবনায় রাখবেন এবং এই সমস্যাগুলো নিজে থেকে সলভ করার চেষ্টা করবেন, এবং ফেসবুকের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ আপডেট সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে, ফেসবুক আইডি ডিজেবল হলে কিভাবে  তা ফেরত আসবেন এগুলো জেনে রাখতে হবে।

আর এই সমস্ত যেকোনো ধরনের স্টেপ সম্পর্কে জানতে হলে আপনি আমার এই ব্লগ ওয়েবসাইট টি সাবস্ক্রাইব করুন, আর আগের দেয়া ফেসবুক সংক্রান্ত সমস্ত আর্টিকেলগুলো কমপক্ষে একবার হলেও পড়ে নিন।

আর এই ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা সমস্ত আর্টিকেলস যখন আপনি পড়ে নিবেন, তখনই আপনি শুধু ফেইসবুক স্প্যামার হিসেবে গণ্য হবেন যে তা নয়, আপনি একজন ফেসবুক বস হিসেবে বিবেচিত হয়ে যাবেন। একদম শেষে আমাদের সবার একটি ভুল ধারণা ভেঙ্গে ফেলা যাক, অনেকেই মনে করেন যে ফেসবুক স্প্যামাররা হয়তো হ্যাকার, এটা আসলে সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা। এই ফেসবুক স্প্যামাররা শুধুমাত্র আপনার ফেসবুক আইডি রিপোর্ট করে ডিজেবল করে দিতে পারে, আর হ্যাকিং বলতে খুব বেশি হলে তারা আপনার ফেসবুক আইডি রিকভার করতে পারে। তবে সমস্ত ফেসবুক স্প্যামাররা  কোনরকম হ্যাকিং এর সাথে সংযুক্ত নয়, তারা ফেসবুকে হ্যাকার নয়।

সতর্কতাঃ- তবে এই পোস্টটির প্রত্যেকটা কথা এবং কাজ না বুঝে করতে গিয়ে আপনাদের যার যার নিজস্ব আইডির আবার বারোটা বাজাবেন না, এবং পরবর্তীতে এসে বলবেন না সবুজ ভাই আপনার কোডটি প্রবেশ করানোর পর আমার এটা কাজ করছে না, ওটা কাজ করছে না, আগে যে কোন পোস্ট ভালোমতো নিজে পড়ে বোঝার চেষ্টা করবেন, এবং তারপর প্র্যাকটিসের জন্য আসল আইডি বাদে যেকোনো ফেক আইডি দ্বারা চেষ্টা করবেন। ফেক আইডি টা এক্টিভ করার পর সফলতা অর্জন করলে পরবর্তীতে নিজের আসল আইডি তে প্রয়োজন হলে পরে এই পন্থাগুলো অবলম্বন করবেন, অন্যথায় নয়। কারণ এই পোস্টগুলো আমি শুধুমাত্র আপনাদেরকে জানানোর জন্য এবং শিক্ষাদানের জন্য তৈরী করছি। আশা করি আমার কথাগুলো বুঝতে পেরেছেন।

তো বন্ধুরা এই ছিল ফেসবুক সিরিজের 15 তম পোস্ট, আপনাদের 15 তম এই পোস্টটি কেমন লাগলো সেটা অবশ্যই আপনারা কমেন্ট বক্সে জানাবেন, আর অনুগ্রহ করে সবুজ বাংলা টিভি ইউটিউব চ্যানেল এবং সবুজ বাংলা টিভি অফিশিয়াল ব্লগ ওয়েবসাইটের সাথে থাকবেন, পাশে থাকবেন।

আশা করি আজকের এই পোস্ট টি সবারই অনেক উপকারে আসবে।  সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, নিরাপদ থাকবেন Sobuz Bangla TV এর সাথেই থাকবেন। ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।

সবুজ বাংলা টিভি ইউটিউব চ্যানেল লিংক:-

https://www.youtube.com/c/SobuzBanglaTV2019

1 টি মন্তব্য:

  1. কিভাবে রিপোর্ট মারতে হয় সেই ভিডিও লিংক আসে ভাই থাকলে আমাকে দিয়েন

    উত্তরমুছুন

Goldmund থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.