এথিক্যাল হ্যাকিং ফ্রী কোর্সঃ পর্ব ০৩; আইপি অ্যাড্রেস বৃত্তান্ত!
এথিক্যাল হ্যাকিং ফ্রী কোর্সঃ পর্ব ০৩; আইপি অ্যাড্রেস বৃত্তান্ত!
এথিক্যাল হ্যাকিং ফ্রী কোর্স পর্ব গুলো একটু দ্রুত প্রকাশ করলে, জানি সকলের মুখ গুলো খুশিতে উজ্জ্বল হয়ে যায়! আর বিশ্বাস করুণ বন্ধুরা, আপনাদের আমি এরকমই হ্যাপি আর পরিতৃপ্ত দেখতে চাই! পর্ব ২ তে বলেছিলাম, নেক্সট পর্বে শুধু বেসিক নয়, বরং সাথে কিছু অ্যাডভান্স বিষয় নিয়েও হাজির হবো, তো ব্যাস হাজির হয়ে গেলাম। যারা এই পর্ব প্রথম পড়ছেন, অবশ্যই আগের আরো দুইটি অসাধারণ পর্ব মিস করে ফেলেছেন, যেগুলোকে এখানে খুঁজে পাবেন। গেলো পর্বে নেটওয়ার্কিং নিয়ে বেসিক বিষয় গুলো আলোচনা করেছিলাম এবং আইপি অ্যাড্রেস সম্পর্কে বেশ ধারণা দিয়েছিলাম, এই পর্বটি শুধু আইপি অ্যাড্রেসের উপরই উৎসর্গ করলাম, কেনোনা নেটওয়ার্কিং এর ক্ষেত্রে এটি বিশাল গুরুত্বপূর্ণ একটি টার্ম।
এই কোর্সে যা যা রয়েছে;
- কিভাবে নিজের আইপি অ্যাড্রেস খুঁজে পাবো?
- কিভাবে আইপি অ্যাড্রেস পরিবর্তন করবো?
- যেকোনো ওয়েবসাইট আইপি কিভাবে খুঁজে পাবো?
- ইমেইল থেকে সেন্ডারের আইপি অ্যাড্রেস কিভাবে খুঁজে পাবো?
- আইপি অ্যাড্রেস থেকে জিওলোকেশন কি সত্যিই খুঁজে পাওয়া সম্ভব?
- 127.0.0.1 আইপি অ্যাড্রেস সম্পর্কে বিস্তারিত!
- ডাইন্যামিক হোস্ট কনফিগারেশন প্রোটোকল কি?
- আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করে কিভাবে ম্যাক অ্যাড্রেস খুঁজে বেড় করবো?
- ফরওয়ার্ড এবং রিভার্স আইপি এবং ডিএনএস লুকাপ কি?
তো বুঝতেই পাড়ছেন, কতো অসাধারণ আর প্রিমিয়াম সব তথ্য দিয়ে এথিক্যাল হ্যাকিং ফ্রী কোর্স পর্ব ৩ কে সাজানো হয়েছে! এবার জাস্ট ঠাণ্ডা হয়ে বসুন আর মনোযোগ সহকারে কোর্সটি উপভোগ করুণ!
নিজের আইপি অ্যাড্রেস খোঁজা!
তো যদি বলা হয়, নিজের আইপি অ্যাড্রেস খুঁজে পাওয়ার কথা সেখানে অবশ্যই পাবলিক আইপিকে প্রথমে বুঝানো হয়, যেটাকে আপনার ইন্টারনেট আইপিও বলতে পারেন। হোম নেটওয়ার্কে শুধু আপনার রাউটারের কাছে পাবলিক আইপি অ্যাড্রেস রয়েছে, বাকী কানেক্টেড থাকা ডিভাইজ গুলোকে রাউটার প্রাইভেট আইপির সাথে কানেক্টেড করে রাখে। যাই হোক, যেকোনো পাবলিক আইপি অ্যাড্রেস খুঁজে পাওয়া অনেক সহজ কাজ। ইন্টারনেটে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, যেগুলো আপনাকে আপনার পাবলিক আইপি অ্যাড্রেস খুঁজে পেতে সাহায্য করে। জাস্ট নিচের লিস্টে বর্ণিত সাইট গুলো ওপেন করুণ, পেজ খুলতেই আপনার পাবলিক আইপি অ্যাড্রেস দেখতে পাবেন। আরো সহজ পদ্ধতি হচ্ছে, গুগলে গিয়ে “What is my ip” লিখে সার্চ করা!
তবে হ্যাঁ, আপনি যদি ভিপিএন ব্যবহার করে থাকেন, তবে এই ওয়েবসাইট গুলো আপনার আসল ইন্টারনেট আইপি প্রদর্শিত করতে পারবে না, বরং ভিপিএন সার্ভার আইপি প্রদর্শিত করবে। যেকোনো প্রক্সি সার্ভার ব্যবহার করলে সেই আইপি প্রদর্শিত হবে। এবার প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে লোকাল আইপি বা প্রাইভেট আইপি খুঁজে বের করবেন?
দেখুন, উইন্ডোজের সকল মডার্ন ভার্সনে “ipconfig” ইউটিলিটি কম্যান্ড প্রমটে আগে থেকেই জুড়ে দেওয়া থাকে। জাস্ট আপনার উইন্ডোজ সিএমডি ওপেন করুণ। সিএমডি ওপেন করার জন্য, উইন্ডোজ কী চেপে ধরে থেকে “R” চাপুন, এভাবে রান ওপেন হবে। এবার রানের ফাঁকা ঘরে গিয়ে লিখুন “cmd” এবং কিবোর্ড থেকে এন্টার প্রেস করুণ, ব্যাস কম্যান্ড প্রমট ওপেন হয়ে যাবে। এবার কম্যান্ড প্রবেশ করান, “ipconfig”, দেখবেন সকল আইপি অ্যাড্রেস গুলো এবং নেটওয়ার্ক হার্ডওয়্যার গুলোর বিস্তারিত শো করবে। আপনি যদি ওয়াইফাই ব্যবহার করে ইন্টারনেট সংযুক্ত করে থাকেন, অবশ্যই “Wireless LAN adapter Wi-Fi” সিলেকশন থেকে আপনার লোকাল আইপি দেখানো হবে। আর যদি আপনি ইথারনেট ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে “Ethernet adapter Local Area Connection.” সেকশনে আপনার লোকাল আইপি প্রদর্শিত হবে। লোকাল আইপি দেখতে 192.168.0.0 থেকে 192.168.255.255 এর মধ্যে যেকোনো কিছু হতে পারে।
আইপি অ্যাড্রেস পরিবর্তন
পাবলিক আইপি’ই আপনার লোকাল নেটওয়ার্ক এবং আপনার কম্পিউটার বা যেকোনো ডিভাইজের পরিচয় ইন্টারনেটের সামনে তুলে ধরে। যদি পাবলিক আইপি পরিবর্তন করা হয়, সেক্ষেত্রে আপনার লোকেশন, দেশ এগুলো লুকিয়ে যায়। আপনি ভিপিএন বা ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক ক্লায়েন্ট ব্যবহার করে পাবলিক আইপি অ্যাড্রেস পরিবর্তন করে ফেলতে পারেন। কোন ভিপিএন ক্লায়েন্ট সফটওয়্যার আপনার সিস্টেমে ইন্সটল করতে হবে যেটা আপনার কম্পিউটার এবং ভিপিএন সার্ভারের মধ্যে একটি ট্যানেল তৈরি করবে। যেকোনো ইন্টারনেট রিকোয়েস্ট তখন আপনার আইএসপি কম্পিউটার দিয়ে না গিয়ে ভিপিএন সার্ভার হয়ে যাবে এবং এই ট্র্যান্সমিশন সম্পূর্ণ এনক্রিপটেড হয়ে থাকে, তাই আপনার আইএসপি কখনোই বলতে পারবে না, আপনি ইন্টারনেটে কি বা কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করছেন। যেহেতু আপনি ভিপিএন সার্ভারে কানেক্ট হয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন, আর সেই সার্ভার অন্য কোন দেশে অবস্থিত, তাই আপনার পাবলিক আইপি অ্যাড্রেসও ভার্চুয়াল ভাবে পরিবর্তন হয়ে অন্য দেশের হয়ে যাবে।
অনেক ভিপিএন সার্ভিস প্রভাইডার রয়েছে, যারা ফ্রী এবং পেইড সার্ভিস প্রদান করে থাকে। যদি টেস্ট করতে চান সেক্ষেত্রে ফ্রী ভিপিএন ব্যবহার করে দেখতে পারেন, কিন্তু পার্মানেন্ট ব্যবহার করার জন্য, অবশ্যই আমি পেইড সার্ভিস গ্রহন করতে বলবো। এমন কোন ভিপিএন প্রভাইডার থেকে সার্ভিস নেওয়া প্রয়োজনীয় যারা লগ সেভ করে রাখে না। তবে ভিপিএনও ট্রেস করা সম্ভব।
ভিপিএন ব্যবহার করে সম্পূর্ণ কম্পিউটার বা সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক ট্র্যাফিক হাইড করা সম্ভব। যদি আপনার শুধু নির্দিষ্ট দুই একটা ওয়েবসাইট আনব্লক করার প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে ওয়েব প্রক্সি ব্যবহার করতে পারেন। গুগলে গিয়ে জাস্ট “web proxy” লিখে সার্চ দিলেই অনেক ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন, যাদের মধ্য থেকে অন্যান্য সাইট ভিজিট করতে পারবেন, এতে আপনার আইপি অ্যাড্রেস ভিসিট করা ওয়েব সার্ভার এর কাছে পৌঁছাবে না। ম্যানুয়াল প্রক্সি ব্যবহার করেও আইপি হাইড করা যায়, কিন্তু এক্ষেত্রে আসল আইপি লিক হয়ে যায়, তাই বেস্ট পদ্ধতি হচ্ছে ভিপিএন ব্যবহার করা। অনেক আইএসপি ডাইন্যামিক আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করে, মানে আপনি ইন্টারনেট ডিস্কানেক্ট করে কানেক্ট করলেই আপনার আইপি পরিবর্তন হয়ে যাবে। বিশেষ করে মোবাইল অপারেটর’রা ডাইন্যামিক আইপি ব্যবহার করে থাকে।
ওয়েবসাইট আইপি খুঁজে বের করা
ইমেইল থেকে সেন্ডারের আইপি অ্যাড্রেস বের করা
আপনি যদি জিমেইল ব্যবহার করে থাকেন, ঐ মেইলটি খুলুন যেটার হেডার চেক করতে চান। এবার উপরের দিকে ডানপাশে “” এই আইকনের পাশে “” ডাউন আর্যো কী’তে ক্লিক করুণ, একটি মেন্যু খুলে যাবে, মেন্যু থেকে “Show original” এ ক্লিক করুণ, ব্যাস নিচের মতো মেইল হেডার খুলে যাবে। কিন্তু গুগল জিমেইল হেডার থেকে সেন্ডারের আইপি অ্যাড্রেস বাদ দিয়ে দেয়, শুধু গুগল সার্ভার আইপি যুক্ত করা থাকে, এই অবস্থায় আইপি অ্যাড্রেস খুঁজে পাওয়া অসম্ভব।
মাইক্রোসফট হটমেইল সার্ভিসে এক্সটেন্ডেড হেডার সেন্ড করে যেটাকে “X-Originating-IP” বলা হয়, এতে সেন্ডারের আসল আইপি পাওয়া যায়, ইয়াহু মেইল হেডারে Received: entry. থেকে আইপি অ্যাড্রেস খুঁজে পাওয়া যায়।
আইপি লোকেশন
তবে একদম ব্যবহারকারীর সঠিক লোকেশন পাওয়া না গেলেও ব্যবহারকারী কোন দেশ থেকে বা কোন আইএসপি’র সাথে কানেক্টেড এই তথ্য গুলো পাওয়া যেতে পারে। তবে সিটি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যায় না, আইপি জিও লোকেশন টুল গুলো শুধু আইএসপির সার্ভার লোকেশন ডিটেক্ট করতে পারে, এখন আইএসপি যদি অনেক বড় হয়, সেক্ষেত্রে ব্যবহারকারী কোন শহরে রয়েছে নির্ণয় করা মুশকিল। আপনি যদি গ্রামীণফোন মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন রাজশাহী থেকে, তো আপনার আইপি লোকেশন ঢাকা শো করবে। iplocation.net সাইটটি থেকে যেকোনো আইপি অ্যাড্রেস আইএসপি বা কোন কোম্পানির নামে রেজিস্ট্রেশন করা রয়েছে তার তথ্য গুলো পেয়ে যেতে পারেন!
127.0.0.1 লোকাল হোস্ট
এটাকে লুপব্যাক আইপি অ্যাড্রেসও বলতে পারেন। ধরুন আপনার নিজের কম্পিউটারকে ওয়েব সার্ভার বানিয়েছেন, এক্ষেত্রে লোকাল হোস্ট আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করে ব্রাউজারে পেজ গুলোকে লোড করতে পারবেন। যখন 127.0.0.1 আইপি অ্যাড্রেস ব্রাউজারে প্রবেশ করাবেন, ব্রাউজার নেটওয়ার্কের মধ্যে পেজ না খুঁজে আপনার কম্পিউটারেই পেজটি খুঁজবে। কেনোনা এটি হোম অ্যাড্রেস! আপনার কম্পিউটার থেকে লোকাল হোস্ট রিকোয়েস্ট করা হলে সেটা কম্পিউটারেই সীমাবদ্ধ থাকবে, লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেটে সেই রিকোয়েস্ট কখনোই যাবে না।
ডিএইচসিপি (DHCP)
যখন একটি ডিভাইজ অন হয় এবং রাউটারের কাছে কানেক্ট হওয়ার জন্য রিকোয়েস্ট প্রদান করে সেটাকে DHCPDISCOVER রিকোয়েস্ট বলা হয়। এক্ষেত্রে ডিভাইজ কানেক্ট হওয়ার জন্য রাউটারের কাছ থেকে নতুন আইপি অ্যাড্রেস চেয়ে রিকোয়েস্ট করে। ডিসকভার রিকোয়েস্ট প্যাকেট ডিএইচসিপি সার্ভারের কাছে পৌছার পরে, সার্ভার একটি আইপি অ্যাড্রেস তৈরি করে দেয় যেটা ডিভাইজটি ব্যবহার করে কানেক্ট হতে পারে। সার্ভার থেকে আইপি পাওয়ার পরে ডিভাইজটি আবার DHCPREQUEST প্যাকেট সেন্ড করে নেটওয়ার্কে কাজ করার জন্য। যদি সার্ভার দেখে আইপি অ্যাড্রেস ঠিক আছে আর কানেকশন দেওয়া যাবে, একটি হ্যাঁ মূলক রেসপন্স করে।
এই রিকোয়েস্ট গুলো অনেক দ্রুত প্রসেস হয়ে যায়, তাই ইউজার এগুলোর সম্পর্কে কিছু বোঝারই প্রয়োজন পরে না। ডিএইচসিপি ডাইন্যামিক আইপি স্টাইল ব্যবহার করে, তাই একই লোকাল নেটওয়ার্কে কখনোই সেম আইপির দুইটি ডিভাইজ তৈরি হবে না, আর এটা সম্পূর্ণই স্বয়ংক্রিয়।
ম্যাক অ্যাড্রেস খোঁজা
অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে যার জন্য ডিভাইজ ম্যাক অ্যাড্রেস আপনার জানা প্রয়োজনীয় হতে পারে। ধরুন আপনি নেটওয়ার্কে যদি ম্যাক অ্যাড্রেস ফিল্টার করে রাখেন, তাহলে শুধু মাত্র নির্দিষ্ট ডিভাইজই রাউটারের সাথে কানেক্টেড হতে পারবে, পাসওয়ার্ড জেনেও লাভ নাই, অন্য ডিভাইজকে রাউটার অ্যালাউ করবে না। তাছাড়া ম্যাক অ্যাড্রেস থেকে ডিভাইজ প্রস্তুতকারী কোম্পানি সম্পর্কে জানতে পারা যায়।
আপাততো কোন ডিভাইজ যদি ফিজিক্যালভাবে রিচ না করতে পারেন, এর ম্যাক অ্যাড্রেস পাওয়া সম্ভব হবে না। আইপি অ্যাড্রেস আর ম্যাক অ্যাড্রেস আলাদা দুইটি জিনিষ। তবে আপনার কম্পিউটার যদি একই লোকাল নেটওয়ার্কে কানেক্টেড থাকে, সেক্ষেত্রে লোকাল নেটওয়ার্ক ডিভাইজের ম্যাক অ্যাড্রেস পেয়ে যেতে পারবেন। আপনাকে কম্যান্ড প্রমট ওপেন করতে হবে এবং কম্যান্ড দিতে হবে “ping 192.168.45.15” এখানে যে ডিভাইজের ম্যাক দেখতে চান তার আইপি দিতে হবে। ডিভাইজটি পিং রিসিভ করলে নিচের মতো রেসপন্স দেখতে পাবেন।
Pinging 192.168.86.45 with 32 bytes of data: Reply from 192.168.45.15: bytes=32 time=290ms TTL=128 Reply from 192.168.45.15: bytes=32 time=3ms TTL=128 Reply from 192.168.45.15: bytes=32 time=176ms TTL=128 Reply from 192.168.45.15: bytes=32 time=3ms TTL=128
এবার সেম কম্যান্ড সেশনে “arp -a” কম্যান্ডটি প্রবেশ করান, এতে পিং করা ডিভাইজটির ম্যাক অ্যাড্রেস দেখতে পাবেন। নিচের মতো রেসপন্স রিসিভ হবে!
Interface: 192.168.45.15 --- 0x3
Internet Address Physical Address Type
192.168.45.1 70-3a-cb-14-11-7a dynamic
192.168.45.15 98-90-96-B9-9D-61 dynamic
192.168.45.255 ff-ff-ff-ff-ff-ff static
224.0.0.22 01-00-5e-00-00-16 static
224.0.0.251 01-00-5e-00-00-fb static
তবে এই পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ডিভাইজ ম্যাক দেখা সম্ভব হবে না, শুধু লোকাল নেটওয়ার্কে এটি কাজে দেবে। এই ম্যাক অ্যাড্রেস আসলে ক্যাশ থেকে শো করে এবং অ্যাড্রেস রেজুলেসন প্রোটোকল ব্যবহার করে আপনি সেটাকে দেখতে পান। সামনের পর্বে ম্যাক অ্যাড্রেস নিয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করবো, যেভাবে এই পর্বে আইপি অ্যাড্রেস কভার করছি!
আইপি অ্যাড্রেস ফরওয়ার্ড এবং রিভার্স লুকাপ
অনেক ইন্টারনেট সার্ভিস রয়েছে যেগুলো আইপি লুকাপ এবং রিভার্স লুকাপ দুইটাই সমর্থন করে। আইপি লুকাপ করার জন্য ডিএনএস সার্ভার থেকে ডাটা নেওয়া হয়, রিভার্স লুকাপের জন্যও ডাটাবেজ থাকে। অবশ্যই প্রত্যেকটি ডোমেইন নেম সল্ভ করে সেই ওয়েব সার্ভারের সাথে কানেক্ট হতে ফরওয়ার্ড লুকাপ প্রয়োজনীয়। কিন্তু আপনি যদি জানতে চান, ঐ আইপি অ্যাড্রেসে কতো গুলো ওয়েবসাইট রয়েছে, তখন রিভার্স আইপি লুকাপ চেক করতে হবে। আপনি এই অনলাইন রিভার্স লুকাপ টুলটি ব্যবহার করে চেক করতে পারেন, ঐ সার্ভার আইপিতে আরো কতো ওয়েবসাইট হোস্ট করা রয়েছে।
এই পর্বে বেসিক জিনিস গুলোর সাথে সাথে আপনাকে অনেক কিছু অ্যাডভান্স টার্ম গুলোও শিখিয়ে দিয়েছি। আইপি অ্যাড্রেস নিয়ে আরেকটি পর্ব আসতে পারে, যেখানে বিভিন্ন রেঞ্জের আইপি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো, কিন্তু আপাতত দ্রুত এরকম পোস্ট পাবলিশ করছি না আপনাদের বোর করার জন্য! নেক্সট পর্বে অবশ্যই আরো টেকনিক্যাল দিকে চলে যাবো। একদমই চিন্তা করবেন না, আমি যতোটকু জানি আপনাকে সবকিছুই দান করে দেবো। তাই সাথেই থাকুন, আর পরবর্তী পর্বও দ্রুতই আসছে। যেকোনো প্রশ্নে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করবেন, যদি গুন কিত্তন করতে চান, তাহলে প্লিজ সবার আগে কমেন্ট করুণ!! তৃতীয় পর্বটি কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না কিন্তু! তাহলে আজকে এই পর্যন্ত অসংখ্য ধন্যবাদ কষ্ট করে পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য।
আশা করি আজকের এই পোস্ট টি সবারই অনেক উপকারে আসবে। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, নিরাপদ থাকবেন Sobuz Bangla TV এর সাথেই থাকবেন। ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।
কোন মন্তব্য নেই