SSD এর সুবিধা অসুবিধা।

SSD এর সুবিধা অসুবিধা

কি চমকে গেলেন? SSD এর আবার অসুবিধা ও আছে নাকি! তা আছে বৈকি। চলুন জেনে নেই SSD এর সুবিধা অসুবিধা আর এর সাথে এসব অসুবিধা এড়ানোর কৌশল। সেই সাথে হার্ডডিস্ক ও এসএসডির কম্বিনেশন যেটা আমাদের জন্য Value for Money হয়।

SSD এর সুবিধাঃ


১। SSD এর সবচেয়ে বড় সুবিধা এর উচ্চ গতি। যেখানে ট্রেডিশনাল HDD স্পীড দেয় সর্বোচ্চ মাত্র ১৩০ মেগাবাইট/সেকেন্ড সেখানে SATA 2 interface এ SSD এর সর্বনিম্ন গতি ২৫০ মেগাবাইট। SATA interface SATA 3 হলে সেই একই SSD আপনাকে ৫৫০ মেগাবাইট পর্যন্ত স্পীড দেবে। মানে প্রায় চার গুণ বেশি স্পীড। আর যদি NVMe হয়!!! আরেহ ভাইরে ভাই সেটা প্রায় ৩৫০০ মেগাবাইট পর্যন্ত স্পীড দেবে যা ট্রেডিশনাল HDDএর তুলনায় ২৫ গুণ বেশি!

২। SSD এর ভেতরে কোন মুভিং পার্ট নেই বলে মোটরের নয়েজ নেই। নেই কোন ভাইব্রেশন। মুভিং পার্ট নেই বলে হার্ডডিস্কের মত যখন তখন ক্রাশ করে না। আর মুভিং পার্ট নেই বলেই SSD এর High Speed and Instant-Load Performance.

৩। SSD তে ব্যবহৃত চিপ SSD কে করেছে আকৃতিতে ছোট, হালকা ও সহজে বহনযোগ্য যা HDD এর মত গবদা সাইজ না। পকেটে নিয়েই ঘুরে ফিরে বেড়ানো যায়।

৪। SSD এর আরেকটি বড় সুবিধা হচ্ছে এর লো পাওয়ার কনজামশন টেকনোলজি। যা ডেস্কটপে খুব একটা বোঝা না গেলেও ল্যাপটপের ক্ষেত্রে খুব কার্যকর।

SSD এর অসুবিধাঃ


১। দাম। হ্যাঁ এটাই SSD এর সবচেয়ে বড় অসুবিধা। ট্রেডিশনাল HDD এর তুলনায় প্রায় চার গুণ বেশি দাম।

২। SSD এর unique file system structure এর কারণে, ডিলিট হয়ে যাওয়া ডাটা পুনরুদ্ধার অত্যন্ত জটিল এবং দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার, এবং data recovery process অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও বটে, সো ধরে নিন ডিলিট মানে চিরতরে ডিলিট।

৩। SSD এর মেমরি চিপ গুলোতে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক Writing Cycle থাকে, শেষ বয়সে যা ডাটা লসের কারণ হতে পারে।

৪। যদি controller chip, memory cache, অথবাNAND type memory chips এর কোনটা physically damagedহয়, আপনার ডাটা সম্পূর্ণ রুপে inaccessibleহয়ে পড়বে।

৫। SSD এর Life spane সাধারণত ৫ থেকে ৬ বছর। এটা কি সুবিধা নাকি অসুবিধা? আসলে হার্ডডিস্ক ও এমন ই যায়।
'
কি ভয় লাগছে? কোন ভয় নেই। সমস্যা থাকলে তার সমাধান ও আছে। এই সব সমস্যার সমাধান একটাই, হার্ডডিস্ক আর এসএসডির কম্বাইন্ড ইউজেস। SATA SSD হলে আপনি কমপক্ষে ২৪০ জিবির SSD কিনবেন। তাতে স্পীড প্রায় ৫৫০ মেগাবাইট পাবেন SATA3 হলে, আর SATA2 হলে প্রায় ২৫০ মেগাবাইট। ১২০ জিবির স্পীড কিন্তু কম হয় আগেই বলে রাখি। ১০০ জিবির পার্টিশন করে অপারেটিং সেটআপ করবেন। আর বাকি ১৪০ বা যাই থাকে তাতে প্রজেক্টের ফাইল গুলো রাখবেন। বা গেম খেললে, গেমটা এনে কপি করবেন এই ড্রাইভে। আবার খেলা শেষে বা কাজ শেষে ফাইল হার্ডডিস্ক এ সরিয়ে রাখবেন। ব্যাস স্পীড ও পেলেন আবার ডেটা লসের ভয় ও থাকলো না (যদি করে আরকি, আমার কাছে অপ্রাসঙ্গিক লাগে অবশ্য)।
'
এবার কথা কিনবেন কোনটা। উত্তর হল আপনার ইচ্ছা। Brand SSDs: Transcend, Gigabyte, Samsung, Corsair Budget SSDs: Walton, Adata, Ramsta.



এগুলোর মধ্য থেকেই কিনতে হবে এমন কিন্তু না। দেখে শুনে পছন্দ মত যেটা ইচ্ছা কিনতে পারেন। তবে বর্তমান পিসির পুরো স্পীড উপভোগ করতে চাইলে অবশ্যই সিস্টেমের বুট ড্রাইভ হিসেবে SSD ইন্সটল করুন। অনেক চিল্লাপাল্লা করলাম। সবাই বাসায় থাকুন, সুস্থ থাকুন আর জানতে থাকুন বিভিন্ন তথ্য। প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরে বের হবেন।

আশা করছি আজকের এই পোস্টটি অনেক উপকারি ছিল, আর আপনাদের এই সম্পর্কিত কোনো প্রশ্ন থাকলে আমাকে কমেন্ট বক্সে করতে পারেন। আর আজকের এই পোস্টটি আপনাদের কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন এবং এই পোস্টটিকে সর্বোচ্চ পরিমাণ শেয়ার করার চেষ্টা করবেন।
আর এই ধরনের আকর্ষণীয় এবং চমকপ্রদ, বাস্তব সত্যি, তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত তথ্য জানার জন্য সবুজ বাংলা টিভি ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন।তাহলে আজকে এই পর্যন্ত অসংখ্য ধন্যবাদ কষ্ট করে পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য। আশা করি আজকের এই পোস্ট টি সবারই অনেক উপকারে আসবে।  সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, নিরাপদ থাকবেন Sobuz Bangla Cyber Army এর সাথেই থাকবেন। ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।

সবুজ বাংলা টিভি ইউটিউব চ্যানেল লিংক:-

https://www.youtube.com/channel/UCt2TKd4f6oQrzWh-GASXxPw?pbjreload=102

কোন মন্তব্য নেই

Goldmund থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.