পাশ্চাত্য সংস্কৃতির নামে আমরা কি করছি?
পাশ্চাত্য সংস্কৃতির নামে আমরা কি করছি?
আজকাল পাশ্চাত্য পাশ্চাত্য বলে আমরা নিজেদের আধুনিক প্রমাণের চেষ্টা করছি। কিন্তু সেই পাশ্চাত্যের কতটুকুই বা আমরা ধারন করতে পেরেছি। আমরাতো শুধু পাশ্চাত্যের রঙ গায়ে মেখে ভেতরে ভেতরে চরম সংকীর্ণ একটা জাতি মাত্র। আজও যারা মুখে ও মনে একরঙা মানুষ হতে পারিনি। এখানেই পাশ্চাত্য ও আমাদের সমাজ ব্যবস্থার মধ্যে মূল সংকট।
আমরা মুখে পাশ্চত্যের বুলি আওরাচ্ছি, অবাধ মেলামেশার কথা বলছি। অথচ সুযোগ পেলে দুদিন আগে যার সাথে ভালো সম্পর্ক ছিল তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলছি। কিংবা বাগদান সম্পন্ন হওয়া স্ত্রীর সাথে ঘনিষ্ঠতার ভিডিও আপলোড করে সমাজে তাকে হেয় করার চেষ্টা করছি। তাহলে আমরা কেমন পাশ্চাত্য অনুসারী? যতদূর জানি ইউরোপের মানুষের মধ্যে আত্মমর্দাবোধ আছে, ন্যায়বোধ আছে, সংযম আছে। আর সবচেয়ে বেশি যেটা আছে তা হলো মানবিকতা।
ইউরোপে একজনের সাথে অন্যজন স্বেচ্ছায় যৌন সম্পর্ক স্থাপন করছে। অপছন্দ হলে অন্য কারো কাছে চলে যাচ্ছে । এতে কি আগের বন্ধুটি কখনো মেয়েটি বা ছেলেটিকে হয়রানির চেষ্টা করে? না সমাজ তাকে কখনো কটুক্তি করে? অথচ একবিংশ শতাব্দীর বাঙ্গালি সুযোগ পেলে হবু স্ত্রীর সাথে ঘনিষ্ঠতাকে বিনোদনের বাজারে বিক্রি করে, বন্ধুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলে, ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিলের জন্য প্রতিবেশির পেছনে মেয়ে পাঠিয়ে দেয়।
আসলে আমরা শুধু পাশ্চাত্যের বাইড়ের চাকচিক্যময় জীবনটাকে গ্রহণ করছি। ভেতরের কোন পরবর্তন আমাদের হচ্ছেনা। পাশ্চাত্যের পোশাক, চাল-চলন এমনকি আজকাল খাবারের সংস্কৃতিটাকে অনুকরণ করছি আমরা। কিন্তু আমাদের ভেতর আসলে অন্তসারশূন্য। মনে মনে আমরা আজও বাঙ্গালির চিরায়ত বৈশিষ্ট্যকে ধারন করে আছি। এখান থেকেই তৈরি হচ্ছে সংকট।
কাকের পিঠে ময়ূরের পাখা লাগালেই কাক যেমন ময়ূর হয়না; তেমনি আমরা ইউরোপের চাকচিক্য আর আড়ম্বরকে গ্রহণ করলেও আমাদের ধ্যান-ধারনা ও আচারণের যুগোপযোগী পরিবর্তন হচ্ছেনা। ফলে আধুনিক হওয়ার নামে আমরা হাস্যকর একটি জাতিতে পরিণত হচ্ছি।
ইউরোপের মানুষ লিভ টু -গেদার করে স্বেচ্ছায়, সজ্ঞানে, প্রয়োজনে ও ভালো লাগার অনভুতি থেকে। কিন্তু আমরা সেটা করি দেখে দেখে। লোকের দেখে কোন কাজ করলে সেটা সুফল আনে না। আমাদের অবস্থাও তাই। আমরা অবাধ মেলামেশা করছি বা লিভ টু গেদার করছি বিদেশীদের দেখে। এখানে ভালো লাগার চেয়ে বেশি কাজ করে অন্ধ অনুকরণ করে নিজেকে আধুনিক প্রমাণের চেষ্টা। ফলে যখনই সম্পর্কের মধ্যে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে তখনই বিষধর সাপের মত ফুঁসলে উঠে বুঝিয়ে দিচ্ছি আমি একবিংশ শতাব্দীর বাঙ্গালি; মযূর পুচ্ছ পরিহিত কাক মাত্র!
আমরা ইংরেজি গান শুনছি, ইংরেজি সিনেমা দেখছি। কিন্তু আমরা কি তাদের মত হতে পেরেছি? ইউরোপের ছেলে-মেয়েরা টিনএজ বয়স থেকে বারে, ক্লাবে যাচ্ছে। বন্ধুদের সঙ্গে বিশেষ মুহূর্ত শেয়ার করছে। অথচ আমাদের দেশে মধ্যবিত্তের একটা মেয়ে যদি ৩০ বছর বয়সেও বারে যায়, পরদিন সমাজ তাকে পতিতা আখ্যা দিতে এক মুহূর্ত অপেক্ষা করবে না।
আমাদের ছেলের- মেয়েরা ইংরেজি গান কিংবা মুভি থেকে যা শিখছে সেটা প্রয়োগ করতে গিয়ে সংকটের তৈরি হচ্ছে। কারণ এখানে সেই সুযোগ নেই। আমরা আজও মূল কে আঁকড়ে ধরে পরে আছি। আমাদের মূলের সংস্কার প্রয়োজন সেটা হচ্ছেনা। মাঝখান থেকে বাইরের পরিবর্তন গ্রহণ করে মূলের সাথে সেটা মেলাতে গিয়েই বিপাকে পরছি। ফলে আমাদের জীবন আধুনিকতা ও পশ্চাতপদতার মাঝামাঝি এসে দোটানায় পরছে, ঝুলে যাচ্ছে।
প্রমথ চৌধুরী বলেছিলেন, ব্যাধিই সংক্রামক; স্বাস্থ্য নয়। একবিংশ শতাব্দীর বাঙ্গালির এখন একই অবস্থা। পাশ্চাত্যের নেতিবাচক দিকগুলো ব্যাধির মত সংক্রমিত করছে আমাদের; অথচ পাশ্চাত্যের মানবিক মূল্যবোধটুকু দূর্লভ সুস্বাস্থ্যের মত দিনের পর দিন কেবলি দূরে সরে যাচ্ছে আমাদের থেকে।
আমাদের মনন ও মগজের আধুনিকতা দরকার। কিন্তু সেটা হচ্ছেনা। ইউরোপে একজন ব্যক্তি মানুষের মূল্যায়ন অনেক বেশি। সেই মানুষটা কি খাবে, কোন পোশাক পড়বে, কি চিন্তা করবে এই স্বাধীনতা তার আছে। প্রত্যেকেই অন্যের ধ্যান-ধারনা, মূল্যবোধকে সম্মান করে।
আমাদের সমাজে একজন মানুষ রোগা হলে আমরা তাকে জিজ্ঞেস করি, তুমি এতো রোগা কেন? তুমি বিয়ে করছো না কেন? ইত্যাদি ইত্যাদি। আবার কেউ মুক্তমনে কথা বললে আমরা ধর্মের দোহায় দিয়ে তাকে শাসিয়ে দেই, এমনকি আমরা অন্যের ভাবনাকেও নিয়ন্ত্রণ করতে চাই সমাজ ও ধর্মের কথা বলে। আমরা সবাই একেকজন মহান ধর্ম প্রচারক ও সমাজ কর্তা।
একইসাথে ইউরোপের লোকেরা তার ঘনিষ্ট বন্ধুটিকেও কখনো তার রোগা কিংবা সিঙ্গেল থাকার উদ্দেশ্য ও কারণ জানতে চাইবে না। কারণ তারা মনে করে এ ধরনের কথা বললে ওই মানুষটির মনে পীড়া তৈরি হতে পারে। সুতরাং ব্যক্তিগত বিষয়ে নেতিবাচক কথা বলে কাউকে আঘাত করা তাদের বৈশিষ্ট্যে নেই। অর্থ্যাৎ তারা ব্যক্তি মানুষের পূর্ণ স্বাধীনতায় যতোটা বিশ্বাস করে; ঠিক ততোটাই তার মূল্যবোধকে সম্মান করে।
সবাই বলে পাশ্চাত্যের মানুষ আবেগহীন, আর বাঙ্গালি আবেগী জাতি। আমারতো মনে হয় পাশ্চাত্যবাসী মন বোঝে, বাঙ্গালি শুধু আবেগ বোঝে। আর মনকে বাদ দিয়ে অনুভূতিকে প্রাধান্য দিলে যা হওয়ার আজকাল আমাদের সমাজে তাই হচ্ছে । আমারতো খুব ইচ্ছে করে আমির খানের পিকে সিনেমার এলিয়ন রাজ্যের মত বাঙ্গালির হাত ধরে যদি মন বুঝতে পারতাম।
আমরা এতো আবেগী যে অন্যেরা মরার পর স্বর্গ না নরকে যাবে সে ভাবনাও আমাদের বিচলিত করে। তাই আমরা ধর্মবোধের কথা বলে জোর করে অন্যদের ধর্ম পালনে বাধ্য করতেও ছাড়িনা।
একটা কৌতুক আছে- নরকের সব দরজার সামনে একজন করে সিকিউরিটি গার্ড রাখা আছে। শুধু একটা দরজার সামনে কেউ নেই। তখন জিজ্ঞেস করা হলো এখানে কারা আছে? কোন গার্ড নেই কেন? জবাবে ফেরেশতারা বললো- ‘এর মধ্যে বাঙ্গালিদের রাখা হয়েছে। গার্ড নেই কারণ এরা একজন দরজা দিয়ে বোরোতে গেলে বাকীরা পেছন থেকে টেনে ধরে।’
আজকাল পাশ্চাত্য পাশ্চাত্য বলে আমরা নিজেদের আধুনিক প্রমাণের চেষ্টা করছি। কিন্তু সেই পাশ্চাত্যের কতটুকুই বা আমরা ধারন করতে পেরেছি। আমরাতো শুধু পাশ্চাত্যের রঙ গায়ে মেখে ভেতরে ভেতরে চরম সংকীর্ণ একটা জাতি মাত্র। আজও যারা মুখে ও মনে একরঙা মানুষ হতে পারিনি। এখানেই পাশ্চাত্য ও আমাদের সমাজ ব্যবস্থার মধ্যে মূল সংকট।
আমরা মুখে পাশ্চত্যের বুলি আওরাচ্ছি, অবাধ মেলামেশার কথা বলছি। অথচ সুযোগ পেলে দুদিন আগে যার সাথে ভালো সম্পর্ক ছিল তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলছি। কিংবা বাগদান সম্পন্ন হওয়া স্ত্রীর সাথে ঘনিষ্ঠতার ভিডিও আপলোড করে সমাজে তাকে হেয় করার চেষ্টা করছি। তাহলে আমরা কেমন পাশ্চাত্য অনুসারী? যতদূর জানি ইউরোপের মানুষের মধ্যে আত্মমর্দাবোধ আছে, ন্যায়বোধ আছে, সংযম আছে। আর সবচেয়ে বেশি যেটা আছে তা হলো মানবিকতা।
ইউরোপে একজনের সাথে অন্যজন স্বেচ্ছায় যৌন সম্পর্ক স্থাপন করছে। অপছন্দ হলে অন্য কারো কাছে চলে যাচ্ছে । এতে কি আগের বন্ধুটি কখনো মেয়েটি বা ছেলেটিকে হয়রানির চেষ্টা করে? না সমাজ তাকে কখনো কটুক্তি করে? অথচ একবিংশ শতাব্দীর বাঙ্গালি সুযোগ পেলে হবু স্ত্রীর সাথে ঘনিষ্ঠতাকে বিনোদনের বাজারে বিক্রি করে, বন্ধুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলে, ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিলের জন্য প্রতিবেশির পেছনে মেয়ে পাঠিয়ে দেয়।
আসলে আমরা শুধু পাশ্চাত্যের বাইড়ের চাকচিক্যময় জীবনটাকে গ্রহণ করছি। ভেতরের কোন পরবর্তন আমাদের হচ্ছেনা। পাশ্চাত্যের পোশাক, চাল-চলন এমনকি আজকাল খাবারের সংস্কৃতিটাকে অনুকরণ করছি আমরা। কিন্তু আমাদের ভেতর আসলে অন্তসারশূন্য। মনে মনে আমরা আজও বাঙ্গালির চিরায়ত বৈশিষ্ট্যকে ধারন করে আছি। এখান থেকেই তৈরি হচ্ছে সংকট।
কাকের পিঠে ময়ূরের পাখা লাগালেই কাক যেমন ময়ূর হয়না; তেমনি আমরা ইউরোপের চাকচিক্য আর আড়ম্বরকে গ্রহণ করলেও আমাদের ধ্যান-ধারনা ও আচারণের যুগোপযোগী পরিবর্তন হচ্ছেনা। ফলে আধুনিক হওয়ার নামে আমরা হাস্যকর একটি জাতিতে পরিণত হচ্ছি।
ইউরোপের মানুষ লিভ টু -গেদার করে স্বেচ্ছায়, সজ্ঞানে, প্রয়োজনে ও ভালো লাগার অনভুতি থেকে। কিন্তু আমরা সেটা করি দেখে দেখে। লোকের দেখে কোন কাজ করলে সেটা সুফল আনে না। আমাদের অবস্থাও তাই। আমরা অবাধ মেলামেশা করছি বা লিভ টু গেদার করছি বিদেশীদের দেখে। এখানে ভালো লাগার চেয়ে বেশি কাজ করে অন্ধ অনুকরণ করে নিজেকে আধুনিক প্রমাণের চেষ্টা। ফলে যখনই সম্পর্কের মধ্যে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে তখনই বিষধর সাপের মত ফুঁসলে উঠে বুঝিয়ে দিচ্ছি আমি একবিংশ শতাব্দীর বাঙ্গালি; মযূর পুচ্ছ পরিহিত কাক মাত্র!
আমরা ইংরেজি গান শুনছি, ইংরেজি সিনেমা দেখছি। কিন্তু আমরা কি তাদের মত হতে পেরেছি? ইউরোপের ছেলে-মেয়েরা টিনএজ বয়স থেকে বারে, ক্লাবে যাচ্ছে। বন্ধুদের সঙ্গে বিশেষ মুহূর্ত শেয়ার করছে। অথচ আমাদের দেশে মধ্যবিত্তের একটা মেয়ে যদি ৩০ বছর বয়সেও বারে যায়, পরদিন সমাজ তাকে পতিতা আখ্যা দিতে এক মুহূর্ত অপেক্ষা করবে না।
আমাদের ছেলের- মেয়েরা ইংরেজি গান কিংবা মুভি থেকে যা শিখছে সেটা প্রয়োগ করতে গিয়ে সংকটের তৈরি হচ্ছে। কারণ এখানে সেই সুযোগ নেই। আমরা আজও মূল কে আঁকড়ে ধরে পরে আছি। আমাদের মূলের সংস্কার প্রয়োজন সেটা হচ্ছেনা। মাঝখান থেকে বাইরের পরিবর্তন গ্রহণ করে মূলের সাথে সেটা মেলাতে গিয়েই বিপাকে পরছি। ফলে আমাদের জীবন আধুনিকতা ও পশ্চাতপদতার মাঝামাঝি এসে দোটানায় পরছে, ঝুলে যাচ্ছে।
প্রমথ চৌধুরী বলেছিলেন, ব্যাধিই সংক্রামক; স্বাস্থ্য নয়। একবিংশ শতাব্দীর বাঙ্গালির এখন একই অবস্থা। পাশ্চাত্যের নেতিবাচক দিকগুলো ব্যাধির মত সংক্রমিত করছে আমাদের; অথচ পাশ্চাত্যের মানবিক মূল্যবোধটুকু দূর্লভ সুস্বাস্থ্যের মত দিনের পর দিন কেবলি দূরে সরে যাচ্ছে আমাদের থেকে।
আমাদের মনন ও মগজের আধুনিকতা দরকার। কিন্তু সেটা হচ্ছেনা। ইউরোপে একজন ব্যক্তি মানুষের মূল্যায়ন অনেক বেশি। সেই মানুষটা কি খাবে, কোন পোশাক পড়বে, কি চিন্তা করবে এই স্বাধীনতা তার আছে। প্রত্যেকেই অন্যের ধ্যান-ধারনা, মূল্যবোধকে সম্মান করে।
আমাদের সমাজে একজন মানুষ রোগা হলে আমরা তাকে জিজ্ঞেস করি, তুমি এতো রোগা কেন? তুমি বিয়ে করছো না কেন? ইত্যাদি ইত্যাদি। আবার কেউ মুক্তমনে কথা বললে আমরা ধর্মের দোহায় দিয়ে তাকে শাসিয়ে দেই, এমনকি আমরা অন্যের ভাবনাকেও নিয়ন্ত্রণ করতে চাই সমাজ ও ধর্মের কথা বলে। আমরা সবাই একেকজন মহান ধর্ম প্রচারক ও সমাজ কর্তা।
একইসাথে ইউরোপের লোকেরা তার ঘনিষ্ট বন্ধুটিকেও কখনো তার রোগা কিংবা সিঙ্গেল থাকার উদ্দেশ্য ও কারণ জানতে চাইবে না। কারণ তারা মনে করে এ ধরনের কথা বললে ওই মানুষটির মনে পীড়া তৈরি হতে পারে। সুতরাং ব্যক্তিগত বিষয়ে নেতিবাচক কথা বলে কাউকে আঘাত করা তাদের বৈশিষ্ট্যে নেই। অর্থ্যাৎ তারা ব্যক্তি মানুষের পূর্ণ স্বাধীনতায় যতোটা বিশ্বাস করে; ঠিক ততোটাই তার মূল্যবোধকে সম্মান করে।
সবাই বলে পাশ্চাত্যের মানুষ আবেগহীন, আর বাঙ্গালি আবেগী জাতি। আমারতো মনে হয় পাশ্চাত্যবাসী মন বোঝে, বাঙ্গালি শুধু আবেগ বোঝে। আর মনকে বাদ দিয়ে অনুভূতিকে প্রাধান্য দিলে যা হওয়ার আজকাল আমাদের সমাজে তাই হচ্ছে । আমারতো খুব ইচ্ছে করে আমির খানের পিকে সিনেমার এলিয়ন রাজ্যের মত বাঙ্গালির হাত ধরে যদি মন বুঝতে পারতাম।
আমরা এতো আবেগী যে অন্যেরা মরার পর স্বর্গ না নরকে যাবে সে ভাবনাও আমাদের বিচলিত করে। তাই আমরা ধর্মবোধের কথা বলে জোর করে অন্যদের ধর্ম পালনে বাধ্য করতেও ছাড়িনা।
একটা কৌতুক আছে- নরকের সব দরজার সামনে একজন করে সিকিউরিটি গার্ড রাখা আছে। শুধু একটা দরজার সামনে কেউ নেই। তখন জিজ্ঞেস করা হলো এখানে কারা আছে? কোন গার্ড নেই কেন? জবাবে ফেরেশতারা বললো- ‘এর মধ্যে বাঙ্গালিদের রাখা হয়েছে। গার্ড নেই কারণ এরা একজন দরজা দিয়ে বোরোতে গেলে বাকীরা পেছন থেকে টেনে ধরে।’
কোন মন্তব্য নেই