এলিয়েন নিয়ে যত আজব তথ্য!

এলিয়েন নিয়ে যত আজব তথ্য! 


মহাকাশে কোটি কোটি নক্ষত্রমণ্ডলে পৃথিবীর মতো বাসযোগ্য বসতি থাকার সম্ভাবনা নিয়ে অনেকটাই নিশ্চিত বিজ্ঞানীরা। কিন্তু রহস্যজনক ভাবে শক্তিধর দেশগুলো ভিনগ্রহের বুদ্ধিমান প্রাণীর অস্তিত্ব নিয়ে বরাবরই বিপরীত অবস্থানে! যদিও একটি মহল গোড়া থেকেই দাবি করে আসছে, মহাকাশে পৃথিবীর মানুষের চাইতেও বুদ্ধিমান জাতি রয়েছে। এবং বেশ কিছু জাতি পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগও করেছে।

তাদের যুক্তি হচ্ছে, পূর্ববর্তী সভ্যতার মানুষ এলিয়েনের সাক্ষাৎ যেমন পেয়েছে এই সভ্যতাও তার ব্যতিক্রম নয়! কিন্তু শক্তিধর দেশগুলো ক্ষমতা ধরে রাখার স্বার্থে সেসব তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করছে না।

শক্তিধর দেশগুলোর সরকার এবং তাদের অনুগত বিজ্ঞানীরা মুখে কুলুপ আঁটলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে কিন্তু এলিয়েন নিয়ে মিশ্র ধারণা রয়েছে। কেউ কেউ এলিয়েনের বিশ্বাস থেকে নানা মজার কাণ্ডও ঘটিয়েছেন। এমনই কিছু মজার তথ্য নিয়ে পরিবর্তনের এবারের আয়োজন।

১. এরিয়েনের দ্বারা অপহৃত হতে পারেন এমন আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রের ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ বিশেষ বীমা করিয়ে রেখেছেন।

২. চাঁদের বুকে পা রাখা পৃথিবীর ষষ্ঠ মানুষ এডগার মিশেল দাবি বরাবরই দাবি করেছেন, ভিনগ্রহের বুদ্ধিমান প্রাণীরা মানুষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেছে।

৩. ভিনগ্রহের বুদ্ধিমান প্রাণীদের পৃথিবীতে ভ্রমণে উৎসাহিত করতে কানাডার সেন্ট পলের অ্যালবার্টা শহরে বিশ্বের প্রথম ইউএফও (Unidentified flying object) অবতরণের ব্যবস্থা করা হয়।

৪. ভিনগ্রহের যান নিয়ে উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে পশ্চিমে ব্যাপক আলোড়ন দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন বিমান বাহিনীর তৎকালীন কর্মকর্তা এডগার রুপেল্ট ১৯৫২ সালে ইউএফও’র আকৃতির একটি নকল আকাশযান তৈরি করে ফেলেন।

৫. যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ১৯৭৭ সালের ১৫ আগস্ট দাবি করে বসেন, তারা ভিনগ্রহের বুদ্ধিমান প্রাণীদের পাঠানো সংকেত পেয়েছেন। বিগ এয়ার মানমন্দিরে পাওয়া সেই শক্তিশালী সংকেত নাকি ২২ কোটি আলোকবর্ষ দূর থেকে আসে। অর্থ খুঁজে না পেয়ে ৭২ সেকেন্ডের সেই সংকেতের পাশে তারা Wow শব্দটি লিখে রাখেন। পরবর্তীতে সেই সংকেত এই নামেই বিশ্বে পরিচিতি পায়।

৬. কারও কারও দাবি, আগামী ১০ বছরের মধ্যে পৃথিবীবাসী ভিনগ্রহের বুদ্ধিমান প্রাণীদের সম্পর্কে জানতে পারবে। তবে একটি পক্ষ এই সম্ভাবনাকে মাত্র ২ শতাংশ বলে দাবি করে আসছেন।

৭. যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু স্থানে নাকি অগ্নিযোদ্ধাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। যার উদ্দেশ্য হচ্ছে কোনো কারণে ভিনগ্রহের যান পৃথিবীতে বিধ্বস্ত হলে যেন প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করা যায়।

৮. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্র বাহিনী বিমান তাদের আকাশসীমায় অদ্ভূত দ্রুতগামী আলোকপিণ্ড দেখতে পেত। প্রায় সময়েই যুদ্ধ বিমানের চালকেরা অভিযোগ করতেন, আকাশে থাকাকালে তাদের চারপাশে সব অদ্ভূত বিমান তারা উড়তে দেখেছেন। রহস্যময় সেসব দ্রুতগামী যানকে ফু ফাইটার্স (FOO Fighters) নামে ডাকা হতো। এদের দমনে একটি বিশেষ বাহিনীও গঠন করা হয়। তাদের কাজ ছিল, আকাশ সীমায় অজানা আকাশযান বা ইউএফও দেখলে তাদের ধাওয়া করা এবং আটক কিংবা ধ্বংস করা।

৯. চাঁদে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা’র পাঠানো যান অ্যাপোলো ১১’র এক অভিযাত্রী বাজ অল্ড্রিন কন্ট্রোল রুমকে চমকে দেয়ার মতো তথ্য দেন। জানান, অভিযানকালে তাদের চারপাশে অদ্ভূত সব আকাশ যান তিনি দেখতে পাচ্ছেন। সেসব যান কখনও কখনও তাদের খুব কাছ দিয়েও যাচ্ছে। যদিও তাদের কোনো ক্ষতি তারা করছে না। নাসার কন্ট্রোল রুমে থাকা কর্মীরা চেষ্টা করেও বের করতে পারেননি সেগুলো আসলে কি ছিল! কিংবা তথ্যগুলো তারা চেপে যায়। জানা যায়, বাজ অলড্রিন নাকি সেসময় রাডারে বিশেষ সংকেতও নাকি পেয়েছিলেন।

১০. বিশ্বের দাবা খেলোয়ারদের সংগঠন ওয়ার্ল্ড চেজ ফেডারেশন’এর প্রেসিডেন্ট ২০১৫ সালে এক অদ্ভূত দাবি করে বসেন। কিরসান ইলিওমঝিনভ জানান, তিনি এলিয়েন দ্বারা অপহৃত হয়ে পুরো একটি দিন মহাকাশে কাটিয়েছেন। তিনি এটাও দাবি করেন, দাবা খেলাটা আসলে পৃথিবীর নয়। ওটা এসেছিল ভিনগ্রহীদের কাছ থেকে।

কোন মন্তব্য নেই

Goldmund থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.