এলিট সিকিউরিটি ফোর্স লিমিটেডের নিরাপত্তাকর্মী খুন।
এলিট সিকিউরিটি ফোর্স লিমিটেডের নিরাপত্তাকর্মী খুন।
রাজধানীর বারিধারায় যমুনা ব্যাংকের এটিএম বুথের ভেতর থেকে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম মো. শামীম। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। বুথের টাকা খোয়া যায়নি। তবে খুনিরা টাকা লুটের চেষ্টা করেছিল- এমন আলামত পাওয়া গেছে। শামীমকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। তার মাথা থেঁতলানো ছিল।ধারণা করা হচ্ছে, ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে হাতুড়ি অথবা রড দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। গোয়েন্দারা এটিএম বুথ থেকে ফুটেজ উদ্ধার করেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী পুলিশের এক কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, নিহত ব্যক্তি এলিট সিকিউরিটি ফোর্স লিমিটেডের অধীনে কাজ করতেন। বুথের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় প্রায়ই তিনি ঘুমাতেন। খুনিরা তার ঘুমের সুযোগই নিয়ে এ কাজ করেছে। খুনিচক্র তার গতিবিধি আগে থেকে অনুসরণ করে পরে সুযোগ বুঝে হত্যা করে।ভাটারা থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত শামীমের গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়িয়ায়। তার বাবার নজরুল ইসলামও একই সিকিউরিটি এজেন্সিতে চাকরি করেন।
সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, এটিএম বুথের ভেতর থেকে রক্ত চুইয়ে নিচের সিঁড়িতে পৌঁছেছে। রক্তের ছোপ বাইরেও। খুনের সময় রক্ত ছিটকে গ্লাসে লেগেছে। ভেতরে হাঁটাহাঁটির করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হয়, পায়ের ছাপ খুনিদেরই। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন আলামত সংগ্রহ করেছে।এ ঘটনায় ভাটারা থানা পুলিশ, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ,র্যাবের গোয়েন্দা শাখা এবং সিআইডি তদন্ত করছে। উদ্ধার করা ফুটেজ, আটক তিনজনের তথ্য এবং প্রযুক্তিগত তথ্য কাজে লাগাচ্ছেন গোয়েন্দারা।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৬টার শিফটে শামীমের ডিউটি শেষ হবে। ভোর ৬টা বাজার দুই মিনিট আগে যমুনা ব্যাংকের এটিএম বুথের ৬টার শিফটের নিরাপত্তাকর্মী আলী মিয়া বুথের কাছে গেলে রক্ত দেখতে পান।ভাটারা থানা পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় এলিট সিকিউরিটি ফোর্স লিমিটেডের জোন কমান্ডার শাহিন, সহকারী জোন কমান্ডার নজরুল ইসলাম ও রহিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।ভাটারা থানার ওসি কামরুজ্জামান বলেন, আলামত পর্যালোচনা করে দেখে মনে হচ্ছে, খুনের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। এ ঘটনায় যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাদের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।ঘটনা সম্পর্কে এলিট সিকিউরিটি ফোর্স লিমিটেডের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানের নাইট চেকার মোহাম্মদ আলী জানান, তার সঙ্গে শামীমের দেখা হয় রোববার রাত ১টা ৪০ মিনিটে। এসে দেখতে পান শামীম এটিএম বুথের মধ্যে ঘুমিয়ে আছে। সে যাতে না ঘুমায় এজন্য তাকে সতর্কও করে যান তিনি।এ প্রসঙ্গে যমুনা ব্যাংকের এটিএম কার্ড ডিভিশনের (অলটারনেটিভ ডেলিভারি চ্যানেল শাখা) কর্মকর্তা বিপুল কুমার রায় বলেন, ব্যাংকের বুথের কোনো টাকা খোয়া যায়নি। বুথটি সিলগালা করা হলেও গ্রাহক সেবার স্বার্থে পাশেই বিকল্প বুথ চালু করা হয়েছে।স্বজনদের বরাত দিয়ে ভাটারা থানার এসআই শাহাবুদ্দিন বলেন, কিছুদিন আগে মোবাইল নিয়ে ঝগড়ার জেরে শামীমের ছোট ভাইকে মারধর করে একই এলাকার কয়েকজন। এর প্রতিবাদ করেন শামীম। এরই জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বুথের ভেতরে সিসি ক্যামেরা ভাঙা ছিল জানিয়ে এসআই শাহাবুদ্দিন বলেন, ঘটনা তদন্তের পরই সব জানা যাবে।কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী প্রতিনিধি জানান, শামীমের গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কিশামত প্রাণকৃষ্ণ গ্রামে। তার বাবার নাম নজরুল ইসলাম। তিনি প্রায় ৫-৬ বছর থেকে ঢাকার ভাটারায় বাবা, মা ও ভাইকে নিয়ে বসবাস করছেন।
নিহতের পরিবার জানিয়েছে, মোবাইল নিয়ে ঝগড়ার জেরে শামীমের ছোট ভাইকে মারধর করে একই এলাকার কয়েকজন। এর প্রতিবাদ করেন শামীম। এর জের ধরে তাকে হত্যা করা হতে পারে। সুরতহাল রিপোর্টে পুলিশ উল্লেখ করেছে, ভারি কোনো কিছু দিয়ে তার মাথায় আঘাত করা হয়েছে। যার ফলে মাথায় একাধিক কাটা দাগ রয়েছে। শামীমকে রাত ২টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে হত্যা করা হয়েছে।
রাজধানীর বারিধারায় যমুনা ব্যাংকের এটিএম বুথের ভেতর থেকে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম মো. শামীম। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। বুথের টাকা খোয়া যায়নি। তবে খুনিরা টাকা লুটের চেষ্টা করেছিল- এমন আলামত পাওয়া গেছে। শামীমকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। তার মাথা থেঁতলানো ছিল।ধারণা করা হচ্ছে, ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে হাতুড়ি অথবা রড দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। গোয়েন্দারা এটিএম বুথ থেকে ফুটেজ উদ্ধার করেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী পুলিশের এক কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, নিহত ব্যক্তি এলিট সিকিউরিটি ফোর্স লিমিটেডের অধীনে কাজ করতেন। বুথের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় প্রায়ই তিনি ঘুমাতেন। খুনিরা তার ঘুমের সুযোগই নিয়ে এ কাজ করেছে। খুনিচক্র তার গতিবিধি আগে থেকে অনুসরণ করে পরে সুযোগ বুঝে হত্যা করে।ভাটারা থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত শামীমের গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়িয়ায়। তার বাবার নজরুল ইসলামও একই সিকিউরিটি এজেন্সিতে চাকরি করেন।
সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, এটিএম বুথের ভেতর থেকে রক্ত চুইয়ে নিচের সিঁড়িতে পৌঁছেছে। রক্তের ছোপ বাইরেও। খুনের সময় রক্ত ছিটকে গ্লাসে লেগেছে। ভেতরে হাঁটাহাঁটির করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হয়, পায়ের ছাপ খুনিদেরই। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন আলামত সংগ্রহ করেছে।এ ঘটনায় ভাটারা থানা পুলিশ, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ,র্যাবের গোয়েন্দা শাখা এবং সিআইডি তদন্ত করছে। উদ্ধার করা ফুটেজ, আটক তিনজনের তথ্য এবং প্রযুক্তিগত তথ্য কাজে লাগাচ্ছেন গোয়েন্দারা।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৬টার শিফটে শামীমের ডিউটি শেষ হবে। ভোর ৬টা বাজার দুই মিনিট আগে যমুনা ব্যাংকের এটিএম বুথের ৬টার শিফটের নিরাপত্তাকর্মী আলী মিয়া বুথের কাছে গেলে রক্ত দেখতে পান।ভাটারা থানা পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় এলিট সিকিউরিটি ফোর্স লিমিটেডের জোন কমান্ডার শাহিন, সহকারী জোন কমান্ডার নজরুল ইসলাম ও রহিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।ভাটারা থানার ওসি কামরুজ্জামান বলেন, আলামত পর্যালোচনা করে দেখে মনে হচ্ছে, খুনের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। এ ঘটনায় যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাদের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।ঘটনা সম্পর্কে এলিট সিকিউরিটি ফোর্স লিমিটেডের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানের নাইট চেকার মোহাম্মদ আলী জানান, তার সঙ্গে শামীমের দেখা হয় রোববার রাত ১টা ৪০ মিনিটে। এসে দেখতে পান শামীম এটিএম বুথের মধ্যে ঘুমিয়ে আছে। সে যাতে না ঘুমায় এজন্য তাকে সতর্কও করে যান তিনি।এ প্রসঙ্গে যমুনা ব্যাংকের এটিএম কার্ড ডিভিশনের (অলটারনেটিভ ডেলিভারি চ্যানেল শাখা) কর্মকর্তা বিপুল কুমার রায় বলেন, ব্যাংকের বুথের কোনো টাকা খোয়া যায়নি। বুথটি সিলগালা করা হলেও গ্রাহক সেবার স্বার্থে পাশেই বিকল্প বুথ চালু করা হয়েছে।স্বজনদের বরাত দিয়ে ভাটারা থানার এসআই শাহাবুদ্দিন বলেন, কিছুদিন আগে মোবাইল নিয়ে ঝগড়ার জেরে শামীমের ছোট ভাইকে মারধর করে একই এলাকার কয়েকজন। এর প্রতিবাদ করেন শামীম। এরই জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বুথের ভেতরে সিসি ক্যামেরা ভাঙা ছিল জানিয়ে এসআই শাহাবুদ্দিন বলেন, ঘটনা তদন্তের পরই সব জানা যাবে।কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী প্রতিনিধি জানান, শামীমের গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কিশামত প্রাণকৃষ্ণ গ্রামে। তার বাবার নাম নজরুল ইসলাম। তিনি প্রায় ৫-৬ বছর থেকে ঢাকার ভাটারায় বাবা, মা ও ভাইকে নিয়ে বসবাস করছেন।
নিহতের পরিবার জানিয়েছে, মোবাইল নিয়ে ঝগড়ার জেরে শামীমের ছোট ভাইকে মারধর করে একই এলাকার কয়েকজন। এর প্রতিবাদ করেন শামীম। এর জের ধরে তাকে হত্যা করা হতে পারে। সুরতহাল রিপোর্টে পুলিশ উল্লেখ করেছে, ভারি কোনো কিছু দিয়ে তার মাথায় আঘাত করা হয়েছে। যার ফলে মাথায় একাধিক কাটা দাগ রয়েছে। শামীমকে রাত ২টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে হত্যা করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই