স্মার্টফোনে ভাইরাস আক্রান্তের শীর্ষে বাংলাদেশ।
স্মার্টফোনে ক্ষতিকর প্রোগ্রাম বা ম্যালওয়ার আক্রমণে শীর্ষস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। দেশের মোট মোবাইলের ৩৫ দশমিক ৯১ শতাংশই ম্যালওয়্যারে আক্রান্ত। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সাইবার নিরাপত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠান কমপ্যারিটেক সম্প্রতি এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
কমপ্যারিটেকের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ম্যালওয়্যার আক্রমণের শিকার ১ দশমিক ৩ শতাংশ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী। এ ছাড়া ম্যালওয়্যার রয়েছে ১৯ দশমিক ৭ শতাংশ কম্পিউটারে। এর বাইরে টেলনেট আক্রমণ শূন্য দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং ক্রিপ্টোমাইনার আক্রমণের পরিমাণ ৩ দশমিক ৭১ শতাংশ। সবমিলিয়ে ৪৭ দশমিক ২১ স্কোর নিয়ে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।৫৫ দশমিক ৭৫ স্কোর নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে আলজেরিয়া। অন্যদিকে সাইবার নিরাপত্তায় সবচেয়ে নিরাপদ দেশ হিসেবে জাপানকে অভিহিত করেছে কমপ্যারিটেক। জাপানের স্কোর মাত্র ৮ দশমিক ৮১।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ফিন্যান্সিয়াল ম্যালওয়্যার আক্রান্তের দিক থেকে শীর্ষে আছে ইউরোপের অন্যতম ক্ষমতাধর দেশ জার্মানি। দেশটির প্রায় ৩ শতাংশ স্মার্টফোনই এ ধরনের ম্যালওয়্যারের শিকার। কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার আক্রমণের দিক থেকে শীর্ষে আছে আলজেরিয়া। দেশটির শতকরা ৩২ দশমিক ৪১ শতাংশ কম্পিউটার ম্যালওয়্যার আক্রান্ত। ক্রিপ্টোমাইনার আক্রান্তের দিক থেকে শীর্ষে অবস্থান করছে উজবেকিস্তান। দেশটির ১৪ দশমিক ২৩ শতাংশ ব্যবহারকারী এ ধরনের ম্যালওয়্যার আক্রমণের শিকার হয়েছেন।তালিকায় দেখা গেছে, সাইবার আক্রমণ মোকাবেলায় সবচেয়ে পিছিয়ে আছে ভিয়েতনাম। আর এদিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া।
কমপ্যারিটেক তাদের প্রতিবেদনে যে বিষয়গুলো বিবেচনা করেছে, সেখানে বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাজে অবস্থানে জন্য মোবাইল ম্যালওয়্যার ও কম্পিউটার ম্যালওয়্যারের বিষয়টি বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। এ ছাড়া সাইবার নিরাপত্তা প্রস্তুতির বিষয়টি বিবেচনা করতে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) ২০১৭ সালের গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি ইনডেক্স বিবেচনা করা হয়েছে। ওই তালিকায় বিশ্বে বাংলাদেশর অবস্থান ৫৩।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, কয়েকটি দেশের কিছু কিছু ক্ষেত্রে দুর্বলতা ও কিছু ক্ষেত্রে শক্ত অবস্থান রয়েছে। বাংলাদেশসহ প্রতিটির দেশে সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আরো উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে। কম্পিউটার ও মোবাইল খাতে আরো নিরাপত্তা বাড়ানো, সাইবার নিরাপত্তা আইন শক্তিশালী করার মতো বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই