ডার্ক ভিপিএন দিয়ে ইমো হ্যাক ২০১৯. প্রতারণার এক নতুন কৌশল। জনসচেতনামূলক পোস্ট।

ডার্ক ভিপিএন দিয়ে ইমো হ্যাক ২০১৯. প্রতারণার এক নতুন কৌশল। জনসচেতনামূলক পোস্ট। 

বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে খুব হট আলোচিত একটি টপিক নিয়ে, হাতে কলমে মানে প্যাকটিক্যাল ভাবে আপনাদের বোঝানোর জন্য আমি এই পোস্টটি করছি। আজকের বিষয় ইমো হ্যাক। অথবা আসলে কি ইমু হ্যাক করা সম্ভব?এবং যদি ইমো হ্যাক করা সম্ভব হয়, তাহলে কিভাবে? আর কোন কোন সফটওয়্যার এবং অ্যাপ দিয়ে ইমো হ্যাক করা যায়? এই বিষয়গুলোই আপনাদেরকে আজ প্যাকটিক্যাল ভাবে দেখানো হবে। আজকের এই পোস্টটিতে আপনাদেরকে আরও দেখানো হবে, ইমো হ্যাক করার শুধুই ইমো হ্যাক না সম্পূর্ণ মোবাইলটি কিভাবে হ্যাক করা যায় মানে, নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেই রকম দুইটি অরজিনাল বৈধ সফটওয়্যার বা অ্যাপের সম্পর্কে। তবে এই পোস্টটিতে আজকের এই বিষয়গুলি সম্পর্কে যাওয়ার আগে, কিছু কথা আপনাদের সাথে বলতে চাই। এই কথাগুলো আপনারা খুব মনোযোগ সহকারে শুনবেন, নয়তো আপনারা অনেকেই এই ভিডিওটি সম্পর্কে ভুল ধারণা নেবেন, এবং ভুল বুঝবেন। কিন্তু আমি চাইনা আমার দর্শক বা আমার সাবস্ক্রাইবার যারা আছে তারা কোন বিষয়ে ভুল জানুক এবং সেই ভুলটা জেনে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হোক। তাই হয়তোবা আমি অনেক সময় বিস্তারিতভাবে বলতে গিয়ে কিছুটা বেশী সময় আপনাদের নষ্ট করি, কিন্তু যারা ধৈর্য্য ধারণ করে আমার কথাগুলো শুনবেন এবং বিশ্বাস করবেন, আমি কথা দিচ্ছি তারা উপকৃত হবেন। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ করবো, এই পোস্টটা খুব মনোযোগ সহকারে দেখার জন্য এবং আমার প্রতিটা কথা সুস্থ মস্তিষ্কে বোঝার জন্য। বর্তমানের তথ্য-প্রযুক্তির যুগে আমরা প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করছি এবং নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদের জীবনযাত্রা আরো অনেক সহজ করে ফেলেছি। কিন্তু একটা কথা সব জায়গায় বিদ্যমান এবং সত্য, সেই কথাটা হচ্ছে, যেখানে সুবিধা আছে, সেখানে অসুবিধাও আছে। আর আমরা যেহেতু বাঙালি তাই আমরা ভালোটার আগে খারাপটা করতেই বেশি পছন্দ করি। ভাই আবার কেউ আমাকে বকাবকি করবে না। কারন আমি নিজেও একজন বাঙালি। আমরা বর্তমানে অনলাইনে বেশিরভাগ সময় কাটাই, আর অনলাইনে বেশিরভাগ সময় কাটাতে গিয়ে আমরা অবশ্যই আমাদের ইন্টারনেট কানেকশনটি সচল রাখি, আর ইন্টারনেট কানেকশন  যেহেতু সচল রাখি, সেহেতু আমরা বিভিন্ন ধরনের অনলাইন অ্যাপ ব্যবহার করি, আর আমরা সেই সমস্ত অ্যাপের মধ্যে বিভিন্ন কলিং অ্যাপ এর মাধ্যমে ভিডিও এবং ভয়েস কল করে থাকি। আর সেই সমস্ত অনলাইন ভিডিও এবং ভয়েস কলিং অ্যাপের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং বিখ্যাত হচ্ছে ইমো অ্যাপ। ইমো অ্যাপের অনেকগুলো ভার্সন আমরা গুগল প্লে স্টোরে দেখতে পাই, যেমন ইমো, ইমো বিটা, ইমো লাইট, এইরকম আরো ইত্যাদি ইত্যাদি। আর আমাদের এই বাংলাদেশে ইমু অ্যাপটি প্রচন্ড রকম জনপ্রিয়, অনলাইনে ভয়েস কল এবং ভিডিও কলের জন্য। আমরা নিশ্চিন্তে এই ইমো অ্যাপটির মাধ্যমে অনলাইনে ভয়েস কল এবং ভিডিও কল করতে পারি। কিন্তু যেখানে ভালো আছে, সেখানে খারাপ অবশ্যই আছে। আমাদের মধ্যে অতি কৌতুহলী কিছু মানুষের ইচ্ছা হয়, অন্য আরেক জনের ইমু হ্যাক করার জন্য, অন্য আরেকজনের কথা জানার জন্য,অন্য আরেক জনের ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য। সেটা হতে পারে ভালোর জন্য অথবা খারাপের জন্য। আজ আমি সেই ভালো খারাপের বিষয়ে আলাপ আলোচনা করবো না। আজ আমি এই ভিডিওতে দুইটি বিষয় নিয়ে কথা বলবো, এখন যে বিষয়টা নিয়ে কথা বলছি, সেটা হচ্ছে এই ভিডিওর প্রথম বিষয়, এরপরের বিষয়টা হবে ইমো হ্যাক, মানে কম্পিউটার বা মোবাইল হ্যাক করার দুইটি বৈধ সফটওয়্যার পরিচিতি। যেটা আপনাদেরকে প্যাকটিক্যাল দেখানো হবে। আর তাই যারা এই পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করে ভিডিওটি দেখেছেন, তারা আর কিছুটা সময় অনুগ্রহ করে ধৈর্য ধারণ করে সম্পূর্ণ ভিডিওটা দেখুন। কথা দিচ্ছি নিরাশ হবেন না। আপনাদের মাঝে যারা ইমু হ্যাক করতে চান তারা অনেকেই নিজেরা তা করতে পারেন না। অন্য কাউকে দিয়ে ইমু হ্যাক করাতে চান, আর এই সুযোগটা নিয়েই ইউটিউব জুড়ে অনেক  প্রতারক, ভন্ড হ্যাকার আছে, যারা কিনা আপনাদের ইমু হ্যাক করে দিতে চায়। আপনারা একটু খেয়াল করলে পরে দেখতে পারবেন, অনেক বড় বড় হ্যাকার, অনেক বড় বড় চ্যানেল, যাদের লক্ষ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার এবং কোটি কোটি ভিউ ওয়ালা ভিডিও আছে, যারা কিনা তাদের ভিডিওতে দাবি করে, তারা এক ক্লিকে যে কারো ইমু হ্যাক করে দেবে? অথবা তারা বলে কোড ছাড়াই আপনার ইমু হ্যাক করুন? অথবা নতুন আরেক ধরনের ভিপিএন প্রতারক ইউটিউবে এসেছে, যারা কি না বলছে ডার্ক ভিপিএন নামে একটি ভিপিএন দিয়ে খুব সহজেই ইমু হ্যাক করে দেবে? তবে তাদের ছোট্ট একটি শর্ত আছে, সেটা হচ্ছে সেই সফটওয়্যার বা অ্যাপটার জন্য আপনার তাদের সাথে তাদের ভিডিওতে দেখানো নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে? আর আমরা  সহজ-সরল, বোকা বাঙালি এই সমস্ত ভিডিও লক্ষ কোটি বার দেখছি এবং বিশ্বাস করেছি এবং তার মধ্যে থেকে আরও অতিরিক্ত বোকা কিছু বাঙালি তাদের সেই ভিডিওর স্ক্রিনে দেওয়া নম্বরে ফোন করে তাদের কাছে আমরা সেই সফটওয়্যার বা অ্যাপটি চাচ্ছি, তখন তারা সেই অ্যাপটি দেওয়ার নাম করে আপনার কাছে টাকা দাবি করছে? এবং আপনারা আপনাদের কষ্টার্জিত টাকা তাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন এবং তাদের এডিট করা ফালতু একটি অ্যাপ আপনার কাছে দিয়ে দিচ্ছে, আপনি খুশিতে গদগদ হয়ে অ্যাপটি নিয়ে এসে নিজের মোবাইলে অথবা পিসিতে ইন্সটল করে ব্যবহার করতে চাইলেন, কিন্তু দেখলেন ওই ভিডিওতে যেভাবে দেখানো হয়েছে অ্যাপটি এখন আর সেভাবে কাজ করছে না? কেন কাজ করছে না সেটা জানেন কি? ভাই এই অ্যাপটি কখনোই প্রতারকদের চ্যানেলে দেখানো ভিডিওতে যেভাবে কাজ করেছিল, সেভাবে আর কাজ করবে না, কারণ আপনার সাথে ওই সমস্ত হ্যাকার নামের হকারা প্রতারণা করেছে। তাদের মূল উদ্দেশ্যই ছিল আপনাদের মত সহজ, সরল ভালো মানুষদের প্রতারিত করে অর্থ আত্মসাৎ করা। তাই আজকের এই ভিডিওটা আমি করছি আপনাদের সতর্ক করার জন্য। কারণ আমাকে আমার ইনবক্সে অনেক ভাই বলেছে, ভাই আমি অমুক ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও দেখে সেই ভিডিওর স্কিন থেকে ফোন নাম্বারে ফোন করে ডার্ক ভিপিএন টাকা দিয়ে কিনে আমার বান্ধবীর ইমু হ্যাক করার জন্য চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু হয়নি উল্টো আমার অর্থ নষ্ট হয়েছে। এবং পরবর্তীতে তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে পরে আমি আর তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারি নাই।আবার প্রবাসী অনেকগুলো ভাই আমাকে আমার ফেসবুক ইনবক্সে নক করে বলেছে তারা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ওই সমস্ত ইউটিউব চ্যানেলের হ্যাকারদের কাছ থেকে ডার্ক ভিপিএন এর লিংক কিনেছে, কিন্তু সেই লিঙ্ক এখন আর কাজ করছে না। এখন তারা কি করবে? আর তাই আমি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আজকের এই ভিডিওটা করছি, সবচেয়ে সহজ এবং ছোট ভাবে আপনাদের বলতে চাই ভাই ডার্ক ভিপিএন দিয়ে কখনই কোনভাবে ইমু হ্যাক করা যায় না। যদি এভাবে ইমো হ্যাক করা যেত, তাহলে ঘরে ঘরে সবার ইমো হয়ে যেত। তাহলে ইমোর প্রাইভেসি বলতে আর কোন কিছুই থাকত না। আর ঐ সমস্ত ইউটিউব হ্যাকাররা যে ডার্ক ভিপিএন টি আপনাদের দেখাচ্ছে, সেটা তারা অ্যাপ এডিটর এর মাধ্যমে এডিট করে নিজেরা নিজেদের মনমতো তৈরি করেছে এবং আপনাদের সামনে তাদের মনমতো একটি ভিডিও তৈরি করেছে, যাতে তাদের ফাঁদে পড়তে আপনাদের কোন ধরনের অসুবিধা না হয়। এই ভিডিওটা করার পর যারা আপনারা দেখবেন তারা হয়তো বা সতর্ক হয়ে যাবেন। আমি জানি এই ভিডিওটার কারণে ওই সমস্ত ভন্ড প্রতারক ইউটিউবারদের পেটে লাথি পড়বে।তখন তারা আমার বিরুদ্ধে কথা বলবে এবং ক্ষতি করার চিন্তা করবে। আর আপনারা তো জানেন, আমি আপনাদেরকে এরকম প্রকৃত সত্য জানানোর জন্য, আমার আগে দুইটা চ্যানেল সাসপেন্ড হয়েছে। কিন্তু আমি দমে যাওয়ার পাত্র নই। আমি আপনাদেরকে সব সময় সত্য এবং সঠিক বিষয়গুলো জানিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ  তাই বন্ধুরা আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি এই সমস্ত ভিপিএন প্রতারকদের কাছ থেকে দূরে থাকুন। আর আপনাদের যদি ডার্ক ভিপিএন এর অরজিনাল লিংক প্রয়োজন হয়, তাহলে সেটা আমি আমার ভিডিও ডিস্ক্রিপশন এ দিয়ে দিয়েছি, তবে আমার দেওয়া ডার্ক ভিপিএন দিয়ে আপনার ইমু হ্যাক করতে পারবেন না। তবে ভিপিএন এর যাবতীয় সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবেন সম্পূর্ণ ফ্রিতে। আর হ্যাঁ ভিডিও দ্বিতীয় অংশ এই ভিডিওর দ্বিতীয় অংশে আমি আপনাদেরকে জানাচ্ছি ইমো হ্যাক করার সহজ কোন পদ্ধতি আজ পর্যন্ত তৈরি হয়নি, তবে যদি আপনি ভিকটিমের সম্পূর্ণ মোবাইলটিকে নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেন, তাহলে আপনি শুধু ইমু না যাবতীয় সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।কি আমার কথাটা বুঝতে পারছেন তো? আর দূর থেকে অন্য কারো মোবাইল বা কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সবচেয়ে ভালো বৈধ অ্যাপ দুইটির নাম হচ্ছে AirDroid এবং AndroRat. AndroRat সফটওয়্যার বা অ্যাপটির  মাধ্যমে কারো মোবাইল বা পিসি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে আপনার ভিক্টিমের মোবাইল বা  কম্পিউটারে হাত দেওয়ার প্রয়োজন নেই, মানে স্পর্শ করার প্রয়োজন নেই, বা আপনার সামনে থাকার কোন দরকার নেই। কিন্তু AirDroid অ্যাপ বা সফটওয়্যারটির মাধ্যমে যদি আপনি ভিকটিমের মোবাইল বা কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করতে চান, তাহলে আপনার সেই মোবাইল বা কম্পিউটারটি স্পর্শ করতে হবে, মানে একবারের জন্য হলেও আপনার মোবাইলটিকে অথবা কম্পিউটারটিকে আপনার কাছে নিতে হবে। আশা করি আমার কথাগুলো আপনারা বুঝতে পেরেছেন। যদি আমি আপনাদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া পাই, তাহলে আমি পরবর্তী ভিডিওটা AndroRat সম্পর্কিত করতে চাচ্ছি। আমি সেই ভিডিওতে আপনাদেরকে হাতে-কলমে প্র্যাকটিক্যালি দেখাতে চাচ্ছি, AndroRat সফটওয়ারটি বা অ্যাপটির মাধ্যমে কিভাবে স্পর্শ না করেই, কাছে না থেকে ও অন্য যে কারো মোবাইল বা কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ নেওয়া যায়। আর তাই আমি আপনাদের মূল্যবান মতামতের অপেক্ষা করছি। আশা করি আপনারা আপনাদের মূল্যবান মতামত অবশ্যই এই ভিডিওর কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আর আপনার আজকের এই ভিডিও থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান কাজে লাগিয়ে, এই সমস্ত ভিপিএন প্রতারকদের কাছ থেকে সতর্ক থাকবেন নিরাপদ থাকবেন।