ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। একদিনে সাত লক্ষ ওয়েবসাইট হ্যাক। বিশ্বের সেরা বাংলাদেশের হ্যাকার TiGER-M@TE।


ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। একদিনে সাত লক্ষ ওয়েবসাইট হ্যাক। বিশ্বের সেরা বাংলাদেশের হ্যাকার TiGER-M@TE। 


হ্যাকিং শব্দটি আজকাল যেমন খুব বিখ্যাত তেমনি কমবয়সী ছেলে মেয়েদের জন্য রোমাঞ্চকরও বটে। অনেকে আজকাল এই হ্যাকিং বিষয়ে অনেক গবেষণায় করছেন। কিন্তু এই হ্যাকিং সম্পর্কে জানতে গেলে আমাদের আগে জানতে হবে হ্যাকিং কি? হ্যাকিং জগৎ টাই বা কি? আর এই হ্যাকিং জগতের নিয়ন্ত্রণ কারা করছে? এবং পৃথিবীর বড় বড় হ্যাকার কারা? কিন্তু আফসোস আমরা অনেকেই হ্যাকার হতে চাই, হ্যাকিং কোর্স করতে চাই,কিন্তু যারা এই হ্যাকিং জগতে রাজত্ব করছে তাদের সম্পর্কে জানতে চাই না।আর তাই আমি আজকে এই ভিডিওতে আপনাদের কে হ্যাকিং জগতের মুকুটহীন এক সম্রাটের সাথে পরিচয় করিয়ে দেব। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ হ্যাকিং এর দিক থেকে অন্যান্য দেশের তুলনায় একটি সম্মানজনক অবস্থানে রয়েছে।দেশের কিছু নতুন ও মেধাবী প্রজন্ম হাল ধরেছে বাংলাদেশের হ্যাকিং ওয়ার্ল্ডের। বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকার যখন নিশ্চুপ তখন এদেশের হ্যাকাররাই প্রতিবাদ জানায় প্রতিপক্ষ দেশ বা প্রতিপক্ষ গোষ্ঠীর প্রতি।তারা তাদের এই প্রযুক্তির অস্ত্র ব্যাবহার করে হ্যাক করে প্রতিপক্ষের ওয়েবসাইট।বাংলাদেশের হ্যাকিং জগত মুলত গ্রুপ ভিত্তিক। নামকরা অনেক গ্রুপই আছে বাংলাদেশে। দেশের সাইবার স্পেস সুরক্ষায় তারা নিবেদিত প্রাণ। তবে আজ আপনাদের কোন গ্রুপ ভিত্তিক হ্যাকারের কথা শোনাবো না। আজ আপনাদেরকে শোনাবো ওয়ান ম্যান আর্মি, মানে একজন হ্যাকারের গল্প। যার কাছে পুরো পৃথিবীর অনেক বড় বড় কোম্পানি নাস্তানাবুদ হয়েছে। তিনি হচ্ছেন আমাদের বাংলাদেশের হ্যাকিং জগৎ এর গর্ব টাইগার ম্যাট।
আমরা অনেকেই জানিনা আমাদের এই বাংলাদেশে বিশ্বমানের অনেক হ্যাকার রয়েছেন?তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা হ্যাকার TiGER-M@TE।

TiGER-M@TE : তাকে ওয়ার্ল্ড এর অন্যতম সেরা হ্যাকার হিসেবে ধারণা করা হয় । ০১ দিনে সর্বোচ্চ ৭ লাখ ওয়েব সাইট হ্যাক করার কৃতিত্ব দেখান তিনি । যেটা আজ পর্যন্ত ওয়ার্ল্ড রেকর্ড হিসেবে অক্ষুন্ন আছে। আজকে এখন পর্যন্ত আমি ভিডিওটা যখন করছি সেই সময় পর্যন্ত কেউ তার রেকর্ডটি ভাঙতে পারেনি। অনেকের ধারনা তার নাম ইমরান। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ উনার সম্পর্কে কোন সঠিক কোন তথ্য দিতে সমর্থ হয়নি। উনি সবসময়ই রয়েছেন লোকচক্ষুর অন্তরালে অ্যানোনিমাস হয়ে।
একটা সময় সমস্ত পৃথিবীর  zone-h এ তার স্থান ছিল প্রথম ৩ জনের ১ জন।আর তিনি আমাদের বাংলাদেশের কৃতিসন্তান। তবে এককভাবে জোন-এইচে বাংলাদেশের এই সেরা হ্যাকার টাইগার ম্যাট এই মুহূর্তে আজকে ৫১ নম্বর স্থানে অবস্থান করছেন। তিনি এর আগে ৭ম স্থানে ছিলেন ২০১৩ সালে। মূলত অনিয়মিত হ্যাকিংয়ের কারণে তিনি ক্রমশ নিচের দিকে চলে আসছেন। টাইগার ম্যাট হ্যাকিং শুরু করেন 2007 সাল থেকে।
এই বাংলাদেশের কৃতি হ্যাকার হ্যাক করেছে বাংলাদেশ গুগল ওয়েবসাইট, মালয়েশিয়ার গুগল ওয়েবসাইট, ভিয়েতনাম গুগল ওয়েবসাইট, কেনিয়ার গুগল ওয়েবসাইট, ইউটিউব সার্ভার, ইয়াহু, এভাস্ট , ক্যাস্পারেস্কি , মাইক্রোসফট, বিং , এয়ারটেল,আমেরিকান এক্সপ্রেস ট্রিনিটি এফএম, ব্লাস্ট ম্যাগাজিন, বিবিসি ওয়েব পেজ এই গুলার মতো আরো অনেক বিখ্যাত এবং নামিদামি কোম্পানির ওয়েবসাইট হ্যাক করে উনি ওনার হ্যাকিং দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।সারা বিশ্বে উনার হ্যাকিং দক্ষতা নিয়ে পৃথিবীর বড় বড় হ্যাকার কারো কোন সন্দেহ নেই। তবে এই ভিডিও দেখার পর কিছু উর্বর মস্তিষ্কের হকার নামের হ্যাকারদের সন্দেহ সৃষ্টি হবে এবং আজেবাজে কমেন্ট করবে, এটা আমি জানি। কিন্তু যে যাই বলুক এটা বাস্তব সত্য টাইগার ম্যাট বাংলাদেশের গর্ব, আমাদের গর্ব, সমগ্র পৃথিবীর হ্যাকিং ওয়ার্ল্ড এর গর্ব।

কোন মন্তব্য নেই

Goldmund থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.