Black Hat SEO টেকনিকস যা আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে।

 Black Hat SEO টেকনিকস যা আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে।


আপনি যখন এসইও শেখা বা তার সাথে জড়িত থাকবেন তখন লিংক বিল্ডিং কথাটি আপনার সামনে যতবার আসবে ঠিক তার একভাগও ব্ল্যাক হ্যাট এসইও কথাটি আসে না। আপনি কি জানেন এটা কোনো হয়? কারন, সবাই এটাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে! কিন্তু তাই বলে সবাই কিন্তু এটাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে নাহ! কেউ কেউ এটাকে সঙ্গী করে নিজেদের সাইটের কোয়ালিটি বাড়ানোর জন্য! তারা এই উপায়ে লিঙ্ক বিল্ডিং করে এবং নিজেদের আয় বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে! কিন্তু সবাই নয় যারা বড় বড় অনলাইন মার্কেটার তারাও এই ব্লাক হ্যাট এসইও করে থাকেন! সবসময় নয় কিছু সময়!
তবে একটা কথা বলি! আপনি যদি কোন অনলাইন ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হন তাহলে কিন্তু তারা আপনাকে ব্লাক হ্যাট এসইও সম্পর্কে বলবে নাহ কিছুই! অর্থাৎ তারা তা জানানোর প্রয়োজন মনে করে নাহ! আজ আমি চেষ্টা করবো ব্ল্যাকহ্যাট এসইও সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারনা দেওয়ার! যদিও এর অনেকগুলা টেকনিক আছে! তবে আমি কিছু গুরুত্বপুর্ন টেকনিক সম্পর্কে আলোচনা করবো।
সাধারনত এসইও টেকনিক দুই প্রকার যার মধ্যে একটি হলো হোয়াইট হ্যাট এসইও এবং অপরটি হলো ব্লাক হ্যাট এসইও! যদিও আজ হোয়াইট হ্যাট এসইও সম্পর্কে বলা আমার এই পোষ্টের বিষয় নয়! তবুও কিছুটা বলে রাখি!
হোয়াইট হ্যাট এসইও!

সার্চ ইঞ্জিনে সমূহের নীতিমালা মেনে চলে যে এসইও করা হয় তা হলো হোয়াইট হ্যাট এসইও। এসব গাইডলাইন বা নীতিমালার মধ্যে সবচেয়ে গুরত্বপূর্ন নীতিটি হচ্ছে “আপনার ওয়েবসাইট মানুষের কল্যাণের জন্য তৈরী করুন ,সার্চ ইন্জিনের জন্য নয়”। মূলত ব্যাকলিংক , কিওয়ার্ড রিসার্চ, লিংক পপুলারিটি, লিংক বিল্ডিং ইত্যাদি হলো হোয়াইট হ্যাট এসইও।হোয়াইট হ্যাট এসইও কে ইথিক্যাল এসইও বলা যায়।
ব্লাক হ্যাট এসইও!
মানুষের কল্যাণে নয় সার্চ ইজ্ঞিনের প্রথম পেজে থাকার জন্য অসৎভাবে অথ্যাৎ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশানের নিয়ম কানুন না মেনে যে এসইও করা হয় তা হলো ব্লাক এসইও। সহজভাবে বললে বলা যায় অসৎভাবে যেকোন কাজ করে অর্থাৎ মানুষের কল্যান না করে সার্চ ইন্জিনে রেঙ্কিং বাড়ানোকে বলা হয় ব্লাক হ্যাট এসইও! যদিও এটা অসৎ কাজ তাই এটাকে বলা হয় আনএথিকাল এসইও! ব্লাক হ্যাট এসইও নানাভাবে করা হয় যাদের নাম শুনলে আপনি মনে করবেন এগুলা নিশ্চয়ই অসৎ কাজ! যার মধ্যে অন্যতম হলো কীওয়ার্ড স্টাফিং, ক্লকিং, ডোরওয়ে পেজেস, অদৃশ্য টেক্সট, স্প্যামিং ব্যাকলিংক ইত্যাদি! যদিও এর মধ্যে সবগুলোই স্প্যামিং অর্থাৎ এইগুলা সার্চ ইন্জিন এবোয়েড করে! কারন এগুলা সার্চ ইন্জিনের নীতিমালার ঠিক বিপরীত!
এই পন্থাগুলোকে আনইথিক্যাল এসইও বলা হয়ে থাকে! তবে এটা হলে আপনার সবচেয়ে বড় একটা ক্ষতি হলো এই আপনার ওয়েবসাইটটি যেকোন সময় সার্চ ইন্জিন থেকে বাদ পড়ে যেতে পারে!
কারন কেউ চায় নাহ যে তাদের নীতিমালা ভঙ্গ করে তাদের নিজস্ব অবস্থানে থাকুক! কারন সব কিছুরই একটা নিয়ম থাকে। উদাহরনস্বরুপ ধরুন আপনি ১০-১৫ টি ওয়েবসাইট তৈরী করলেন! যদিও এটা খারাপ কিছু নয় কিন্তু আপনি এটা খারাপ কাজে ব্যবহার করলেন!
এখন বলবেন খারাপ কাজটি আসলে কি?
আপনার যদি উদ্দেশ্য থাকে আপনি এই ১০-১৫ টি ওয়েবসাইটকে আপনার লিঙ্ক তৈরীর মেশিন বানাবেন তাহলে এটাই হলো ব্লাক হ্যাট এসইও!
ধরেন আপনি যদি ব্যাকলিংক বৃদ্ধির জন্য একটি ওয়েবসাইটের লিংক অপর ওয়েবসাইটে দিলেন। আর এভাবে ব্যাকলিঙ্ক তৈরী করতে চাইলেন! এটাই হলো লিঙ্ক ফার্ম! সার্চ ইঞ্জিনের কাছে এধরণের কাজ স্প্যাম হিসেবে ধারনা করে! কাজেই আপনি যদি এই কাজগুলা করেন তাহলে আপনি একদিন না হয় একদিন সার্চ ইন্জিনের কাছে ধরা খাবেন এবং তারা আপনার ওয়েবসাইটগুলোকে তাদের সার্চ রেঙ্কিং থেকে বাদ দিয়ে দিবে!
ডোরওয়ে পেজ!
উদাহরন স্বরুপ বলা যায় আপনি যদি বিনা পরিশ্রমে সার্চ ইন্জিনে একটি ভালো স্থানে যেতে চান, যার কারনে আপনি একটি আর্টিকেলে অনেকগুলো কিইওয়ার্ড দিয়ে লিখলেন। যার কারনে আপনি আপনার পোষ্টটিতে অনেকগুলা ওয়েবসাইটের লিঙ্ক দিয়ে দিলেন। যার কারনে যেকোন ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে পোষ্ট পড়ার জন্য ল্যান্ড করলেও সে আপনার ওয়েবসাইটে থাকতে পারছে নাহ! সে রিডাইরেক্ট হয়ে অন্য কোন ওয়েবসাইটে চলে যাচ্ছে! সার্চ ইন্জিন এটাকে স্প্যাম বলে স্বীকৃতি দেয়! যার কারনে এই কাজগুলো সবসময় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন! আপনি যদি লিখতে তেমন একটা সক্ষম না হন তাহলে আপনি যা পারেন তাই নিজের পোস্টে ফুটিয়ে তুলার চেষ্টা করুন। অন্যথায় সার্চ ইন্জিন এটাকে ব্লাক হ্যাট এসইও মনে করবে এবং আপনি আপনার রেঙ্কিং থেকে দুরে সরে যাবেন!
কি ওয়ার্ড স্টাফিং!
আপনি যদি যেকোন কিইয়ার্ডের উপর আপনার পোস্টটি পাবলিশ করেন! কিন্তু আপনি যদি পোষ্টে মুল বিষয় না লিখে শুধু কেইওয়ার্ড লিখেন তাহলে এটাকে কিইওয়ার্ড স্টাফিং বলে!
আপনি যদি এটা করেন তাহলে আপনি সার্চ ইন্জিনের প্রথম পেজে আসতে পারেন খুব সহজেই! কিন্তু ততক্ষণই আপনি আপনার রেঙ্কিং টিকিয়ে রাখতে পারবেন যতক্ষণ পর্যন্ত সার্চ ইন্জিন এটা ঠিকমত অনুমান না করে!
তাই এরকম কাজ করা থেকে সর্বদা বিরত থাকাবেন! এবং চেষ্টা করবেন সর্বদা কেইওয়ার্ড ডেনসিটি বজায় রেখে যেকোন আর্টিকেল লিখার!
এরকম কাজ করলে যদিও আপনার রেঙ্কিংয়ে যেতে সময় লাগতে পারে তবুও এই রেঙ্কিং এর স্থায়িত্ব হবে বহুকাল।
অদৃশ্য টেক্সট!
আমরা সাধারনত অদৃশ্য বলতে কি বুঝি? নিশ্চয়ই যে জিনিসগুলো যা সাধারমত দৃশ্যমান নয়!
ঠিক তেমনি ভাবে ধরুন আপনি আপনার ওয়েবের ব্যাকগ্রাউন্ড কালারের সাথে ম্যাচ করে কীওয়ার্ড এর মাত্রাধিক ব্যবহার করেছেন। অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটের কালারকে ব্যবহার করে আপনি অনেক কিইওয়ার্ড ব্যবহার করলেন! যদিও এই কিইয়ার্ডগুলো সবাই দেখলো নাহ! তারা তাদের মুল বিষয়গুলো পড়ার পর আপনার ওয়েবসাইট থেকে বিদায় নিলো! যদিও এটা সাধারন কোন ভিজিটর দেখতে সক্ষম হন নাহ! তবুও সার্চ ইন্জিন এটাকে খুব সহজেই অনুমান করতে পারে! আপনি এটা করে ভালো রেঙ্কিংয়ে পৌঁছালেও আপনার এই রেঙ্কিং বেশিক্ষণ স্থায়ী হবে নাহ! সার্চ ইন্জিন যখন তা অনুমান করবে তখনই আপনি রেঙ্কিং ড্রপ করবেন! কারন এটা ব্লাক হ্যাট এসইও এর অন্তর্গত।
ক্লকিং!
ক্লকিং হলো এমন একটা টেকনিক বা পদ্ধতি যেটা সার্চ ইন্জিনকে এক ধরনের কনটেন্ট দেখাবে আর ইউজারকে অন্যরকম কনটেন্ট দেখায়। এটাকে একরকম সার্চ ইন্জিনকে ফাকি দেওয়া বললেও কম হবে নাহ! এখন আপনাদের যে বিষয়টি ক্লিয়ার করব তা হলো সার্চ ইঞ্জিনের কাজ করে মানুষ এবং তার সাথে সার্চ ইন্জিনের বট/ক্রাউলার/স্পাইডার/স্কুটার।
বুঝতেই পারছেন সার্চ ইন্জিন আপনার থেকে কতগুন বেশি চালাক! কারন আপনি যখন আপনার পোষ্টটি সাবমিট দিবেন তখন এই পোষ্টটি এই পাঁচজনকে পাড়ি দিয়ে যেতে হয়! এখন উদাহরণস্বরূপ বলা যায়! আপনি যদি এই এইরকম কনটেন্ট রাইটিং করেন তাহলে, যখন সার্চ ইন্জিনের একেক জনের কাছে একেকরকম শো করবে, তখন সার্চ ইন্জিন কি করবে! নিশ্চয়ই এটাকে স্প্যাম ভাববে এবং আপনার রেঙ্কিং এ পেনাল্টি দিবে! কারন এটি হলো ব্লাক হ্যাট এসইও এর একটি পদ্বতি! চেষ্টা করবেন এটাকে এড়িয়ে চলার!
কিওয়ার্ড ডেনসিটি!
কিওয়ার্ড ডেনসিটি হলো আপনার যেকোন পোস্টে ব্যবহ্রত কেইওয়ার্ডের সংখ্যা! অর্থাৎ প্রতি ১০০ শব্দে আপনি কতগুলো কিইওয়ার্ড ব্যবহার করছেন তাই বুঝায়! অনেক সময় দেখা যায় অনেক পোস্টে ১০০ টি শব্দে ৩ টার বেশি কিইওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়! এটা স্প্যাম! আপনি এটা থেকে বিরত থাকবেন! তাছাড়া এটা ব্লাক হ্যাট এসইও অন্তর্গত! অর্থাৎ প্রতি ১০০ শব্দে আপনার নির্ধারিত কীওয়ার্ডটি কমপক্ষে ৩ বার ব্যবহার করতে হবে! এর বেশি নয়!
কনটেন্ট কপি!
কপি সম্পর্কে আমাদের সকলেরই ধারনা আছে! এটা হলো এমন একটি সামগ্রী যা প্রথমে একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয় তারপর তা কপি করে এনে অন্য সাইটে প্রকাশিত করা হয়! অর্থাৎ সার্চ ইন্জিন যখন আপনার পোষ্টটি ক্রাউল করে নিবে তখন অন্য কোন ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ পেলে কপি বলে গন্য হবে! আপনি যদি এই কপিরাইট করেন করে থাকেন ১০-১২ বছর আগে তা হলে ঠিক আছে! এটা আপনার রেঙ্কিং য়ের কোন ক্ষতি নাও করতে পারে! কারন তখনকার এলগোরিদম এতটা হার্ড ছিলো নাহ! কিন্তু আপনি যদি এখন কোন পোস্ট সম্পুর্ন কপি পেষ্ট করে আপনার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেন! তাহলে এটা কপিরাইট বলে গন্য হবে এবং আপনি কখনও ভালো রেঙ্কিং এ যেতে পারবেন নাহ! এর পাশাপাশি, আপনি গুগল পাণ্ডা দ্বারা দন্ডিত হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে আপনার সাইটটিকে আরো ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারেন। কারন এটা Black Hat SEO technique এর অন্তর্গত!
কমেন্টিং স্প্যাম!
আপনি যখন কোন একটা ওয়েবসাইটে যাওয়ার পর তাদের দেওয়া পোস্টটি যখন আপনার ভালো লাগে অথবা খারাপ লাগে তখন নিশ্চয়ই এর সম্পর্কে একটি ভালো বা খারাপ মন্তব্য করার ইচ্ছা জাগে! তাছাড়া আপনি সকল পোস্টের নিচে কমেন্ট বক্স ও পেয়ে যাবেন আপনার মন্তব্য করার জন্য! যদিও এটা খারাপ কিছু নাহ! কিন্তু এটা তখনই খারাপ হয়ে যাবে যখন আপনি আপনার সাইটকে প্রমোট করার জন্য আপনার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক দিয়ে দিবেন! সার্চ ইন্জিন এটাকে স্প্যাম মনে করে কারন এটা Black Hat SEO technique এর অন্তর্গত! তাই এসব থেকে বিরত থাকা উচিত।
ব্ল্যাক হ্যাট এসইও সম্পর্কে আজ এই পর্যন্তই থাক। পোষ্টের শেষ অংশে এসে বড় আফসোস নেই বলতে হচ্ছে, ভালো একটা লেখা লিখতে সময় এবং ধৈর্যের প্রয়োজন হয়। আমি আপনাদের জন্য ভালো মানের লেখা লিখতে চাই, কিন্তু আপনাদের কাছ থেকে তেমন আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ার কারণে উৎসাহ হারিয়ে ফেলি। তাই অনুগ্রহ করে ভালো লেখা এবং ভালো কাজগুলোকে আপনারা লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার এর মাধ্যমে উৎসাহিত করবেন।

1 টি মন্তব্য:

Goldmund থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.