এথিক্যাল হ্যাকিং ফ্রী কোর্সঃ পর্ব ০৭; কিভাবে ওয়েবে অ্যানোনিমাস ভাবে ভিজিট করে নিজের ডিজিটাল পরিচয় লুকিয়ে ফেলবেন? (বিগেনার গাইড!)
এথিক্যাল হ্যাকিং ফ্রী কোর্সঃ পর্ব ০৭; কিভাবে ওয়েবে অ্যানোনিমাস ভাবে ভিজিট করে নিজের ডিজিটাল পরিচয় লুকিয়ে ফেলবেন? (বিগেনার গাইড!)
এথিক্যাল হ্যাকিং ফ্রী কোর্সের ০৭ম পর্বে আপনাকে স্বাগতম, আজ এমন কিছু শেখাবো আমার মনে হয় যা আপনার খুব ভাল লাগবে। আচ্ছা তার আগে আমি বলি ধরুন আমি যে আপনাদের সাথে এই সব হ্যাকিং বিষয় গুলো শেয়ার করছি। আপনি একটা কিছু করতে গেলে যদি ধরা খেয়ে যান ও আপনাকে যদি এর জন্য পুলিশে ধরে নিয়ে যায়। তাহলে আপনি কি করবেন? আপনি কি হ্যাকিং দুনিয়া থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবেন? আমার কথা না! কেন ছেড়ে দিবেন? আমি কেন আছি? আজ আমি আপনাকে শিখিয়ে দিবো, কিভাবে ওয়েবে আপনার পরিচয় লুকিয়ে সকল কাজ করবেন? মানে অ্যানোনিমাস ভাবে ভিজিট করবেন কিভাবে?
অ্যানোনিমাস কি? অ্যানোনিমাস কেন হবেন?
ধরুন আপনি একটা ওয়েব সাইট হ্যাক করেছেন, সেটা বাংলাদেশ পুলিশের। এবার আপনি হ্যাক করার পরে আপনার আইপি টা পুলিশ পেয়েছে, এবার তারা এটা খোজা শুরু করেছে।এবার পুলিশ সেই আইপি টার আইএসপি বা ইন্টারনেট প্রোভাইডারকে খুঁজবে। এরপরে পুলিশ আইএসপি থেকে সেই আইপি টার সকল তথ্য নিবে এবং আপনি গ্রেফতার। এবার আপনি ভাবতে পারেন ভাই আমি তো ডাইনামিক আইপি ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু ভাই আপনার তো এটা বুঝতে হবে আপনার যে ইন্টারনেট প্রোভাইডার তাদের কাছে তো আপনার সকল তথ্যই আছে। এবার ভাবতে পারেন ভাই আমি যে আইপি ব্যবহার করছি এই আইপি তো আমি বাদেও অনেকেই ব্যবহার করছে (ডাইনামিক আইপির ক্ষেত্রে একটা আইপিকে একাধিক ইউজারের কাছে রাউট করে ব্যবহার করতে দেয়া হয়, তাই এক আইপি অনেক জন ব্যবহার করে থাকে)। কিন্তু ভাই আপনাকে এটাও ভাবা লাগবে আপনি বাদেও অনেকে এই আইপি ব্যবহার করছে কিন্তু সেটা ব্যবহার করতে দিচ্ছে কে? আপনার আইএসপি তাই আপনার আই এসপির কাছে সকল তথ্যই থাকে। তাই পুলিশ আপনার আইএসপির কাছে থেকে আপনার এড্রেস নিয়ে চলে আপনার দরজায়। এবার আপনি জেলে একটা সেই ঘুম দিচ্ছেন, সাথে এথিক্যাল হ্যাকার হওয়ার সপ্ন শেষ এবার হয়ে গেলেন আপনি ব্লাক হ্যাট হ্যাকার।
আমি ওপরের কথা শুধু মাত্র উদাহরণ ছিল মাত্র। কিন্তু আপনি অনেক কারনেই নিজেকে অ্যানোনিমাস করতে পারে। এছাড়াও অনেকেই ভাবতে পারেন অ্যানোনিমাস শুধু মাত্র হয় হ্যাকারা, কিন্তু এটা একটা ভুল কথা। একজন সাধারণ ইউজারের তার তথ্য সুরক্ষিত রাখার জন্য নিজের তথ্য গোপন রাখতে পারেন।এখানে আমি একটা বিষয় দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছি। ধরুন আপনি আমেরিকাই থাকেন ও আপনি সেই খানে থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। এবার আমেরিকার সরকার আপনাকে সব সময় ট্রেস করছে, আপনি কি করছেন, কার সাথে কথা বলছেন সব তথ্য তারা নিজের কাছে রাখছে। এখন আপনার প্রশ্ন হতে পারে ভাই সরকার তো এটা দেখতেই পারে, হ্যা দেখতে পারে খুব ভাল কথা। ধরুন আপনার গার্ল ফ্রেন্ডের সাথে আপনার ঝগড়া হচ্ছে এবার রাগের মাথায় আপনার গার্ল ফ্রেন্ড আপনার গোপন কিছু কথা বলে দিল। যদি পরবর্তিতে আপনাদের সব ঠিক হয়ে গেল কিন্তু এখানে কি হইলো? মাঝে থেকে আপনার গোপন কথা আমেরিকার সরকার জেনে নিল। এমনো তো হতে পারে সরকারের কেউ সেই তথ্য অন্য দেশের কাছে পাচার করে দিল, এবার আপনার তথ্য অন্য দেশের কাছে চলে গেল। আপনার সম্মান টা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে এবার আপনি বলুন। তাই আমি সাজেস্ট করবো একজন সাধারন ইন্টারনেট ব্যবহার কারির তথ্য গোপন রাখা দরকার।
কিভাবে ইন্টারনেটে নিজেকে অ্যানোনিমাস রাখবেন?
প্রক্সি সাইট ব্যবহার।
ভিপিএন ব্যবহার।
আপনার লোকেশন ও আইপি সব টাই তো ভুল তাহলে আমাকে খুজে বের করবে কিভাবে! কিন্তু ভাবুন , পুলিশ সেই আইপি দেখে আপনার ভিপিএন কোম্পানির কাছে রিপোর্ট করেছে ও তাদের লগ দেখে সেই আইপি টা কোন ইউজার ব্যবহার করেছে সেটা নিয়ে নিল ও আপনার আসল আইপি খুজে পেল। এবার তো আপনি ধরা খেয়ে গেলেন। আপনি হয়তো ভাবতে পারেন ভিপিএন কোম্পানি আপনার আসল আইপি কিভাবে খুজে পাবে? ভাই বুঝেন একটু, ভিপিএন কিভাবে কাজ করে? ভিপিএন একটা ট্যানেল শুধু, ধরুন একটা রাস্তা আছে তার ভেতর দিয়ে আরেকটা রাস্তা বানানো আছে। যেটা পুরোটা ঢাকা কেও দেখতে পাবেনা। আর এই ঢাকা রাস্তা টাই হচ্ছে ভিপিএন।
এবার এই রাস্তার মালিক তো বুঝতেই পারবে আপনি কোন রাস্তা থেকে এই ট্যানেলে ঢুকেছেন। ঠিক একই ভাবে ভিপিএন কাজ করে ও তাদের কাছে তথ্য থাকে যেটা থেকে তারা বলতে পারে আপনার আসল আইপি কি। তাহলে এর জন্য করনিয় কি? আসলে এই কাজ গুলো করে থাকে ফ্রি ভিপিএন সার্ভিস প্রোভাইডার কোম্পানি গুলো। এমন অনেক কোম্পানি আছে যারা ইউজারের কোন তথ্য তাদের কাছে জমা রাখে না। তাদের কাছে যদি এই তথ্য জমা না থাকে এর অর্থ আপনার তথ্য তাদের কাছে নেই। সুতরাং আপনি এই সব ভিপিএন গুলো ব্যবহার করতে পারেন। অনেক পেইড ভিপিএন আছে তারা কোন ইউজারের তথ্য বা লগ তাদের কাছে রাখে না। যেমন, ট্যানেল বেয়ার, নর্ড ভিপিএন ইত্যাদি , গুগলে এমন ভিপিএন সার্চ করে সেই ভিপিএন গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
ম্যাক অ্যাড্রেস পরিবর্তন।
এটা পরিবর্তন করার দরকার পরে এই কারণেই কেননা অনেক সময় আপনার ম্যাক অ্যাড্রেস টা অন্য জন যদি পেয়ে যায় তাহলে আপনার ডিভাইস সম্পর্কে অনেক তথ্য পেয়ে যেতে পারে। মূলত এই কারণ টার জন্যই ম্যাক অ্যাড্রেস পরিবর্তনের দরকার পরে থাকে। তাছড়া এটা লুকোনোর অন্য কোন কারণ নেই তেমন।
টর নেটওয়ার্ক ব্যবহার।
পরিশেষে বরাবরের মত একটা কথায় বলবো ভাল থাকবেন ও নিরাপদ থাকবেন। ভেবে ছিলাম অনেক বড় করে লিখবো আমি এই আর্টিকেল টাই শুধু মাত্র ধরণা দিলাম ও পথ গুলো দেখিয়ে দিলাম। তাহলে আজকে এই পর্যন্ত অসংখ্য ধন্যবাদ কষ্ট করে পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য।
আশা করি আজকের এই পোস্ট টি সবারই অনেক উপকারে আসবে। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, নিরাপদ থাকবেন Sobuz Bangla TV এর সাথেই থাকবেন। ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।
কোন মন্তব্য নেই